রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী একেবারেই শঙ্কামুক্ত। তার মাথার পেছনে যে ক্ষত হয়েছিল তা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
Advertisement
আগামীকাল (রোববার) সকালে তাকে সিসিইউ (করোনারি কেয়ার ইউনিট) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে। তিনদিনের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হবে। বাসায় গিয়ে তিনি দুই সপ্তাহ বিশ্রামে থাকবেন। ফলোআপ চিকিৎসার জন্য পরে আবার হাসপাতালে আসবেন।
তার চিকিৎসার্থে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বরেণ চক্রবর্তী শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা শেষে শনিবার রাতে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শনিবার আইভীর মস্তিষ্কের পেছনের দিকে যে ক্ষত হয়েছিল তার সর্বশেষ অবস্থা দেখতে সিটি স্ক্যান করা হয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, ক্ষত বাড়েনি বরং উন্নতি হয়েছে। আজ থেকে তার ওষুধের ডোজ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনদিন অবজারবেশনে রেখে তাকে রিলিজ দেয়া হতে পারে।
Advertisement
হঠাৎ করে স্ট্রেস কিংবা ক্ষতের কারণে তিনি কিছুটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্ট্রেস চলে যায়। তার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে। বর্তমানে তিনি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন।
আইভীর চিকিৎসার জন্য গঠিত বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া (নিউরোলজিস্ট), অধ্যাপক ডা. আশরাফ আলী (নিউরোলজিস্ট), অধ্যাপক ডা. মাসুদ আনোয়ার (নিউরোসার্জন) ও অধ্যাপক ডা. আবুল জাহেদ (কার্ডিওলজিস্ট)।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. আইভী। সেদিন তাৎক্ষণিকভাবে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার ইস্যু নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) চাষাঢ়ায় হকার ও এমপি শামীম ওসমানের অনুসারীদের সঙ্গে মেয়রের লোকজনের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময় মেয়র আইভীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়। সেই সঙ্গে আহত হয় সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ আরও অনেকে।
Advertisement
এমইউ/জেএইচ/জেআইএম