বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে রচিত কবি শহিদ রাহমানের সাড়া জাগানো গল্প ‘মহামানবের দেশে’ অবম্বনে এর আগে ‘ইতিহাসের কৃষ্ণপক্ষ’ এবং ‘কবি ও কবিতা’ নামের দুটি কাহিনীচিত্র নির্মিত হয়েছে। এবার নির্মিত হলো এ গল্প নিয়ে তৃতীয় কাহিনীচিত্র ‘তখন পঁচাত্তর’।
Advertisement
মিরন মহিউদ্দীনের চিত্রনাট্যে এটি নির্দেশনা দিয়েছেন আবু হায়াত মাহমুদ। এতে অভিনয় করেছেন লাক্স তারকা ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। আরও রয়েছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, রুনা খান, শ্যামল মাওলা, রাশেদ মামুন অপু, রামিজ রাজু, এসএম মহসীন, হিন্দোল রায় প্রমুখ।
এ মাসের শুরুর দিকে টানা তিনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনসহ এর কয়েকটি হল, কমলাপুর রেল স্টেশন ও সাতারকুলে কাহিনীচিত্রটির দৃশ্যধারন করা হয়েছে। এতে দেখা যাবে- ২৭ বছর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কেড়ে নেওয়া ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। তাছাড়া দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর এবারই প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসবেন তিনি। এ উপলক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জমকালো এক অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত পুরো ঢাবি ক্যাম্পাস।
অনুষ্ঠানের ঠিক আগের দিন শামছুন্নাহার হলের গেটে ছোট কাগজে হাতে আঁকা পাকিস্তানি পতাকা সাঁটা হয়, এনএস বিল্ডিংয়ে পটকা ফুটে, জহুরুল হক হল রেট করার খবর আসে। সবমিলিয়ে ছাত্রসমাজ বিভ্রান্ত। তারা কমলাপুর রেল স্টেশনে আশ্রয় নেয়। এরইমধ্যে গভীর রাতে বেতারে ভেসে আসে মেজর ডালিমের কণ্ঠস্বর- শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে....
Advertisement
ছাত্রসমাজ মিছিলে মিছিলে রাজপথ ভাসিয়ে তোলে। সাপ্তাহিক ‘মুক্তির বাণী’ স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার আসল খবরটি প্রকাশ করে। গ্রেপ্তার করা হন সেই পত্রিকার সম্পাদক আবেদুর রহমান, ছাত্রনেতা মিজান, সাংবাদিক কবির। এই নৃশংস হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য পালিয়ে যান ছাত্রনেতা সেলিম।
তিয়াসা মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত কাহিনীচিত্রটি প্রযোজনা করেছেন মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। সম্প্রতি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে গুণীজনের উপস্থিতিতে ‘তখন পঁচাত্তর’র প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। এটি অচিরেই যে কোনো একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচার হবে।
এলএ/জেআইএম
Advertisement