আজ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে কাল পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। সময় আছে আর একদিন। তাই ট্রেনে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে ছুটছেন আপন ঠিকানায়।শুক্রবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের গিয়ে দেখা যায়, ট্রেনের ভেতর সিট বা দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে শত শত যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে ছাদে উঠে বাড়ি ফিরছেন। গত দুইদিনের তুলনায় ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় কমে গেলেও শুক্রবার বেড়েছে যাত্রীর সংখ্যা। স্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন রেল কতৃপক্ষ।ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠা জামাল উদ্দিন বলেন, সিরাজগঞ্জ যাবো। কোনো ট্রেন পাইনি। এই ট্রেনটি চাপাইনবাবগঞ্জ যাবে। ট্রেনের ভেতর সিট খালি নেই, দাঁড়ানোরও জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছাদে উঠেছি। কি আর করা বাড়ি যেতে হবে তো। এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, শেষ মুহূর্তে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে যাত্রী অনেক বেশি। আমরা যতটুকু সম্ভব যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে নিরুৎসাহিত করছি। তারপরও কিছু যাত্রী ছাদে উঠে যাচ্ছে।যাত্রীদের ছাদে না উঠার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিজেদেরই নিতে হবে। ঈদ মানে আনন্দ। আর এ আনন্দ যেন কষ্ট না হয়। যাত্রীদের ভোগান্তি ঠেকাতে যথা সম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি এবার ঈদে যাত্রীদের বাড়ি যাওয়া আবার ফিরে আসতে কোনো সমস্যা হবে না। চট্টগ্রামের যাত্রী আফরোজা জানান, ট্রেনের অপেক্ষায় বসে আছি। চট্টলা এক্সপ্রেসে বাড়ি যাবো। ১১টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা। একটু আগেই এসেছি। রেলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সঠিক সময়ে ট্রেন ছাড়লেই হলো। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় ব্যবস্থাপনা ভালই দেখছি।এর আগে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক দাবি করেছেন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের সিডিউল ঠিক রাখতে রেলওয়ের কর্মকর্তারা প্রস্তুত রয়েছেন। আমরা আমাদের সাধ্যমতো একশ ভাগ সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত। আশা করি এবার ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হবে না। ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের বিধি মালায় বলা আছে ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠা সম্পূর্ণ নিষেধ। এ ব্যাপারে রেলওয়ের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া আছে, যাতে কোনো যাত্রী ছাদে উঠতে না পারে। ট্রেনের ছাদে যেন যাত্রী না ওঠে সে জন্য শতকরা ২০ ভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিটেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।এসআই/এসকেডি/এসএস/এমএস
Advertisement