বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিনে শনিবার লাখ লাখ মুসল্লির উদ্দেশে সকাল থেকে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে বাংলা ভাষায় বয়ান চলছে। বয়ান করছেন বাংলাদেশের মাওলানা মোহম্মদ হোসেন। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান এরই মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। রোববার মোনাজাতে শরিক হতে আসছেন মুসল্লিরা। মোনাজাতের আগ পর্যন্ত এ ঢল অব্যাহত থাকবে।
Advertisement
বয়ান চলছেদু’দিন ধরে সার্বক্ষণিক ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত রয়েছেন মুসল্লিরা। প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যন্ত ঈমান, আমল, আখলাক ও দ্বীনের পথে মেহনতের ওপর আমবয়ান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের ৬ উসুলের (মৌলিক বিষয়ে) ওপর বাদ ফজর বাংলাদেশের মাওলানা মোহম্মদ হোসেনের বয়ানের মধ্য দিয়ে শনিবার দ্বিতীয় দিনের বয়ান শুরু হয়। বাদ জোহর সোমালিয়ার মাওলানা শেখ ইসমাইল, বাদ আসর বাংলাদেশের মাওলানা রবিউল হক এবং বাদ মাগরিব বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জোবায়ের বয়ান করবেন।
তাশকিলইজতেমা প্যান্ডেলের উত্তর-পশ্চিমে তাশকিলের কামরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি খিত্তায় তাশকিলের জন্য বিশেষ স্থান রাখা হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে আল্লাহর রাস্তায় বের হতে ইচ্ছুকরা নাম তালিকাভুক্ত করে সেখানে অবস্থান করছেন। কাকরাইলের মসজিদের মুরব্বিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় দ্বীনের মেহনতে পাঠানো হবে।
ইজতেমায় বিদেশী মুসল্লিইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনই জর্ডান, লিবিয়া, আফ্রিকা, লেবানন, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইরাক, সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের ৮৩টি দেশের ৩ হাজার ৯৭৮জন বিদেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছেন বলে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানিয়েছে।
Advertisement
বিশেষ ট্রেনটঙ্গীর রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা জানান, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে রেলওয়ে আখাউড়া, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন রুটে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। মোনাজাতের আগে ও পরে সব ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে যাত্রাবিরতী করবে। ইজতেমায় আগত যাত্রীদের কথা বিবেচনায় রেখে টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে অতিরিক্ত টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য ১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমা আয়োজন করা হয়। ১৯৬৬ সালে গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমান ময়দানে স্থানান্তর করা হয় বিশ্ব ইজতেমা। ২০১১ সাল থেকে দুই দফায় বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হয়। স্থান সংকুলান না হওয়া, অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন অসুবিধা ও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এ আয়োজন করা হয়।
আমিনুল ইসলাম/এফএ/এমএস