প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার চেষ্টাকারী সেই নিয়াজুল ইসলাম খান ভারত পালিয়ে যেতে পারেন। নগরবাসীর মাঝে এমনই গুঞ্জন চলছে। তারা বলছেন, গ্রেফতারের আতঙ্কে তিনি যেকোনো সময় ছাড়তে পারেন দেশ। হকার উচ্ছেদ ইস্যুতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও এমপি শামীম ওসমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় এই নিয়াজুল অস্ত্রধারী হয়েছিলেন।
Advertisement
অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে নিয়াজুলকে। তবে পুলিশ বলছে, শুধু নিয়াজুলকে একা নয় ওইদিন যারাই অস্ত্র প্রদর্শন করেছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। উপরমহলের নির্দেশ পেলেই তাদে গ্রেফতার করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক জানান, অস্ত্রধারী নিয়াজুলকে খুঁজে পেলেই গ্রেফতার করা হবে। সেইসঙ্গে ঘটনার দিন যারা অস্ত্র প্রদর্শন করেছে ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হবে। উপর মহলের নির্দেশ পাওয়ার পর গ্রেফতার অভিযানে নামবে পুলিশ।
ওইদিন শুধু নিয়াজুল একাই অস্ত্র প্রদর্শন করেননি। দুই পক্ষের প্রভাবশালী নেতারাও অস্ত্র প্রদর্শন করেছিলেন।
Advertisement
ঘটনার দিন উপস্থিত লোকজনের মুখে শোনা যাচ্ছে, মেয়র আইভীর ঘনিষ্ট ব্যক্তি ও জেলা আওয়া মীলীগের সাংগঠনিক সস্পাদক আবু সুফিয়ান এবং এমপি শামীম ওসমানের ঘনিষ্ট ব্যক্তি ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামও অস্ত্র প্রদর্শন করেছিলেন। তারা প্রকাশ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন।
তবে একটি সূত্র বলছে, গণপিটুনির শিকার নিয়াজুলকে গোপনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কোথায় সেই চিকিৎসা হচ্ছে একান্ত ঘনিষ্ঠজন ছাড়া কারো কাছেই প্রকাশ করা হচ্ছে না। নিয়াজুল কিছুতেই পুলিশের হাতে ধরা দেবেন না। জেডএ