ছুটির দিনে ক্রেতা-দশনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। তিল ধারণের ঠাঁই নেই মেলার প্রত্যেক স্টল-প্যাভিলিয়নে। ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিক্রেতারা।
Advertisement
শুক্রবার মেলা ঘুরে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদাচারণা মুখর ছিল মেলা। বিকেলে দর্শনার্থীদের স্রোতে মেলায় যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। দর্শনার্থী বাড়তে থাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। আশানুরুপ ক্রেতা-দর্শনার্থী পেয়ে খুশি স্টল মালিকরা। তাই ক্রেতাদের আকর্ষণে বিভিন্ন পণ্যে বিশেষ মূল্য ছাড় দিচ্ছেন তারা।
মেলায় গৃহস্থালি বিভিন্ন পণ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। প্লাস্টিকের তৈরি গৃহস্থলির পাশাপাশি প্রেসার কুকার, জুস মেকার, জুস ব্লেন্ডার, ওভেন, রাইস কুকার, ইস্ত্রি, ইন্ডাকশন চুলা, ফ্যানসহ নানা ধরনের ইলেক্ট্রনিক ও ইলেক্ট্রিক পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনে নগদ ছাড়সহ বিভিন্ন পুরস্কার জিতে নিচ্ছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের জন্য পুরস্কার হিসেবে বিমানের টিকিট দিচ্ছে ভিশন ইলেকট্রনিক্স, ইফাদ অটোজ এবং তানিন বেস্টওয়ার ফার্নিচার। প্রতিষ্ঠান তিনটির পণ্য কিনে সৌভাগ্যবান ক্রেতা হিসেবে পেতে পারেন বিদেশ ভ্রমণের ফ্রি বিমানের টিকিট। এছাড়া পণ্যে নগদ ছাড়সহ বিভিন্ন পুরস্কার দিচ্ছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। ফলে মেলা থেকে পণ্য কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহেরও শেষ নেই। তবে প্রথমদিকের মতো এখনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় দেশীয় প্যাভিলিয়নগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেশি।
Advertisement
বাণিজ্য মেলার ৪৬ নম্বর প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নে গৃহস্থলির সামগ্রী বিক্রি করছে টপার। প্যাভিলিয়টিতে টপারের সকল পণ্যে ক্রেতাদের ১০ শতাংশ ছাড় দেয়া হচ্ছে। বিকাল থেকে প্যাভিলিয়টিতে তিল ধারণের ঠাঁই। প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় কর্মীরা বলেন, এতো ক্রেতা যে পানি খাওয়ারও সময় পাচ্ছি না।
শিশু খেলানা ও গৃহস্থলী সামগ্রী বিক্রেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রথমদিকে বিক্রি কিছুটা কম ছিল। এখন খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি শেষ দশ দিন আরও ভলো বিক্রি হবে।
মেলায় আসা সায়মা আক্তার বলেন, রান্নার কাজে চাই জুতসই জিনিসপত্র। তাই প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য কিনতে মেলায় এসেছি। এখানে অনেক প্রতিষ্ঠানের গৃহস্থলি পণ্য রয়েছে। কিন্তু এতো ভিড় স্টলগুলোতে যাওয়ায় যাচ্ছে না।
অলিম্পিকের প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ সৈয়দ নাজমুল আলম বলেন, বিক্রি ভালো হচ্ছে। ছুটির দিন ক্রেতাদের পণ্য দিয়ে অবসর পাচ্ছি না। এখন দিন যত যাচ্ছে বিক্রি ততো বাড়ছে। আশা করছি সামনে বিক্রি আরও বাড়বে।
Advertisement
কেনাবেচা কেমন হচ্ছে এমন প্রশ্নে মেলায় ‘দুরন্ত’স্টলের ইনচার্জ জানান, আজ মেলায় ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতাদের পণ্য দিয়ে অবসর পাচ্ছি না। আমাদের বাইসাইকেলগুলো প্যাকেট করা থাকে। বিক্রি হলে তা ফিটিং করে দিতে হয়। আজকে বিক্রি এতো বেশি যে বিক্রয় কর্মীরা ফিটিং করতে হিমশিম খাচ্ছে।
এসআই/এএইচ/পিআর