রিয়াল মাদ্রিদে সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। ২০০৯ সালে রিয়ালে যোগ দেয়ার পর গত ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে একটি মৌসুম কাটাচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। অথচ তারা যে দল এখন এত ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, তারাই কি না গত দুই বছর বিশ্বজয় করে ফিরেছে। জিতেছে আটটি শিরোপা। ব্যক্তিগত অর্জনেও সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। একের পর এক সাফল্য ঘরে তুলে নিয়েছেন সিআর সেভেন।
Advertisement
এরই মধ্যে বার কয়েক রিয়াল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কপট বিরোধ বেধেছিল রোনালদোর। সে সবই পারিশ্রমিক সম্পর্কিত। বিশ্বসেরা হওয়ার সুবাধে রোনালদো যে সুবিধা চাইতেন, তা পুরোপুরি না পেলেই মাঝে-মধ্যে হুঙ্কার দিতেন, রিয়াল ছেড়ে চলে যাবেন।
কোথায় যাবেন? তা কেউ না বললেও, পুরনো ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিন্তু সব সময়ই সিআর সেভেনের জন্য একটি দরজা খোলা রাখতো। মাঝে-মধ্যে রোনালদোও বলে বেড়াতেন, তিনি ম্যানইউকে খুব মিস করেন। এবারও অনেকের ধারণা ছিল, রিয়াল মাদ্রিদে কোনো ঝামেলা হলেই হয়তো ধরা-বাধা ম্যানইউকে বেছে নেবেন রোনালদো এবং খুব সহজেই সেখানে চলে আসবেন।
কিন্তু এবার সম্ভবত সেই দরজাও রোনালদোর জন্য বন্ধ হয়ে গেলো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে হয়তো আর চাইলেও আসতে পারবেন না তিনি। কারণ, আর্সেনাল থেকে ইতিমধ্যেই ম্যানইউতে আলেক্সি সানচেজের নাম লেখানো প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আর্সেনাল-ম্যানইউ ঐকমত্য হয়ে গেছে প্রায়। হেনরিকে এমখিতারিয়ানের লন্ডনে আসাও প্রায় নিশ্চিত।
Advertisement
বার্ষিক ১৬ মিলিয়ন ইউরো পারিশ্রমিকে আলেক্সিস নাম লেখাচ্ছেন রেড ডেভিলদের দলে। সানচেজের ম্যানইউতে আসা মানেই হলো, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ম্যানইউর কেনার ব্যাপারে সব ধরনের পরিকল্পনার ইতি ঘটা। এমনকি ম্যানইউ কোচ হোসে মরিনহোরও এ ধরনের কোনো ইচ্ছা নেই।
ম্যানইউতে নাম লেখানোর আগেই মরিনহোর গুডলিস্টে নাম উঠে গেছে সানচেজের। যেমনটা উঠেছে মার্কাস রাশফোর্ড, হুয়ান মাতা, রোমেলু লুকাকু, অ্যান্থোনি মার্শাল, হেসে লিঙ্গার্ড এবং জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ।
সব মিলিয়ে দলবদলের বাজারে ম্যানইউর যে ব্যায়ের পরিকল্পনা তা আপাতত শেষ। শীতকালীন মধ্যবর্তী দলবদলে তাদের পরিকল্পনায় আর কেউ নেই। এমন আগামী গ্রীষ্মকালীন দলবদলের বাজারেও তাদে খুব বেশি পরিকল্পনা নেই। জড়জোর একজন মিডফিল্ডার কিংবা একজন ডিফেন্ডার কেনার দিকেই মনযোগ দেবে বেশি।
আইএইচএস/পিআর
Advertisement