খেলাধুলা

আত্মবিশ্বাসী তবে আত্মতুষ্ট নন মাশরাফি

ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা এর চেয়ে ভালো হতে পারতো না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচেই ৮ উইকেটের দাপুটে জয় বাংলাদেশের। এমন শুরুর পর আত্মবিশ্বাসের পারদ তো তুঙ্গে থাকার কথা টাইগারদের। ভীষণ আত্মবিশ্বাসীও মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে আত্মবিশ্বাসকে আত্মতুষ্টিতে রূপ দিতে রাজি নন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক।

Advertisement

অনেকে বলতে পারেন, জিম্বাবুয়ের মতো দলকে তো হেসেখেলেই হারানো যায়। যারা এমন কথা বলবেন, তারা বোধ হয় বুধবার শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ম্যাচটি মিস করে গেছেন। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দলকে এদিন ১২ রানে হারিয়ে দিয়েছে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে নাকাল হওয়া ওই জিম্বাবুয়েই।

মাশরাফিও ওই ম্যাচটির কথা সবাইকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দল যাতে আত্মতুষ্টিতে না ভোগে সেই সতর্কবার্তাও তার, 'আমরা আত্মবিশ্বাসী তবে আত্মতুষ্ট নই। কারণ আমাদের সাথে জিম্বাবুয়েকে দেখে যত ভগ্ন ও দুর্বল মনে হয়েছে, তারা যে ততটা দুর্বল নয়, তার প্রমাণ গতকালের ম্যাচ। জিম্বাবুইয়ানরা প্রায় তিনশ রান (২৯০) করতে পারে এবং সেই রানকে জয়সূচক পুঁজিতে রূপান্তর করে শ্রীলঙ্কাকে হারাতেও পারে বুধবার রাতে মিলেছে সে সত্যের দেখা।'

শুক্রবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এই শ্রীলঙ্কাই। তবে কি আত্মবিশ্বাসে নড়বড় দলটিকে এখন সহজেই হারিয়ে দিতে পারবে টাইগাররা? মাশরাফি এটাও মানছেন না। তিনি বলেন, 'শ্রীলঙ্কাকেও আমি খাটো করে দেখছি না। তাদের উপরের দিকে কুশল পেরেরার সেঞ্চুরি আছে আমাদের বিপক্ষে। অভিজ্ঞ উপুল থারাঙ্গাও বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য রাখেন, অতীতে খেলেওছেন। এছাড়া দিনেশ চান্দিমালও ভালো ব্যাটসম্যান। আর সবচেয়ে বড় কথা, ওদের আছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস আর থিসারা পেরেরার মতো প্রতিভাবান ও অতি কার্যকর অলরাউন্ডার।'

Advertisement

কুশল পেরেরা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটিই করেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ১০৬ রানের এক ইনিংস খেলেছিলেন এই বাঁহাতি। থারাঙ্গারও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি টাইগারদের বিপক্ষে, ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে কলম্বোতে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই ওপেনার। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে আরও দুটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।

আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস তো বরাবরই ব্যাটে বলে প্রতিপক্ষের ত্রাস। চোটের কারণে ইদানীং বোলিংটা করছেন না। চোট না থাকলে এই অলরাউন্ডার বিশ্বসেরা হতে পারতেন, এমনটাই মত মাশরাফির, 'ম্যাথিউসের ক্যারিয়ারটা ইনজুরির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। না হয়, এই লঙ্কান বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার হতে পারতেন এবং আমি মনে করি, হবার সব যোগ্যতা তার আছে। এখন অবশ্য ইনজুরির কারণে হয়তো বোলিংটা সেভাবে করতে পারছেন না। তবে আমি বিশ্বাস করি, তার ব্যাট ও বলের সামর্থ্য অনেক।'

বিপিএলে এবার রংপুর রাইডার্সে একসঙ্গেই খেলেছেন মাশরাফি আর থিসারা পেরেরা। এই অলরাউন্ডার কতটা ভয়ংকর হতে পারেন, সেটা ভালো করেই জানা মাশরাফির। টাইগার দলপতি তার সম্পর্কে বলেন, 'থিসারা পেরেরাকে আমি খুব কাছ থেকেই দেখেছি। সে নিয়মিতই ছয়/সাত নাম্বারে নেমে দলকে ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। কাজেই আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভোগার কিছু নেই। আমরা নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটার প্রয়োগ ঘটাতে চাই মাঠে। সেটাই মূল লক্ষ্য।'

এআরবি/এমএমআর/আরআইপি

Advertisement