আদলতের রায়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচন স্থগিত ও অনিশ্চিত হয়ে পড়ার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দায়ী করছে বামদলগুলো। তাদের অভিযোগ, এটি সরকার ও ইসির একটি নাটক।
Advertisement
বুধবার রাজধানীতে মুক্তিভবনের মৈত্রী সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চার নেতারা এ অভিযোগ করেছেন।
তারা বলেছেন, সুনিশ্চিত পরাজয় এড়াতেই সরকার এ নাটকের আয়োজন করেছে। বিনা ভোটে নির্বাচিত বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তার দুর্নীতি, লুণ্ঠন ও অপচয়মূলক তৎপরতার মধ্য দিয়ে গোটা দেশের মতোই ঢাকা শহরকেও বিপর্যস্ত করেছে। কিন্তু গত নির্বাচনের মতো অত সহজে ভোট ডাকাতি করা কঠিন হবে অনুভব করেই তারা এ পাতানো খেলার আয়োজন করেছে। যেন আদালতের ঘাড়ে পুরো প্রক্রিয়ার দায়ভার তুলে দিয়ে তারা নিজেরা নিরাপদ থাকতে পারে।
ডিএনসিসির উপ-নির্বাচনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিকে সর্বসম্মতির ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তির প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চা।
Advertisement
এতে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাম মোর্চার সমন্বয়কারী মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য শুভ্রাংশ চক্রবর্তী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স ও গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশনও এ পরিস্থিতির জন্য সমানভাবে দায়ী। নির্বাচিত গণপ্রতিনিধি ছাড়া একটি শহর চলতে পারে না। সরকার ও নির্বাচন কমিশন মিলে দেশবাসীর মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে প্রশাসকের মাধ্যমে নগর পরিচালনা করার ফন্দি এঁটেছে।
তারা আরও বলেন, সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস ও নির্বাচন কমিশন যদি উচ্চতর আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয় তাহলে ধরেই নেয়া যায় যে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথ যোগসাজশেই ঢাকাবাসীর বিরুদ্ধে এ চক্রান্ত পরিচালনা করেছে।
এফএইচএস/জেডএ/এমএস
Advertisement