ঘরোয়া ফুটবলে এমিলি-মিঠুন রসায়নটা অনেক পুরনো। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১০ আসরের ৫টিতেই তারা খেলেছেন একই জার্সি গায়ে। ২০১২ সালে শেখ রাসেলের ট্রেবল জয়ে বড় ভূমিকা ছিল এ দুই ফরোয়ার্ডের।
Advertisement
অনেক দিন পর ঢাকার মাঠে দেখা গেলো দুই জনের দুর্দান্ত সমন্বয়। মোহামেডান স্বাধীনতা কাপ জয়ে শুরু করতে না পারলেও মিঠুন-এমিলির বোঝাপড়ায় পিছিয়ে পড়া ম্যাচ ড্র করে ঘরে ফিরেছে সাদা-কালোরা।
সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ জামালের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়া মোহামেডানকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন এমিলি, দর্শনীয় গোলে। যে গোলের উৎস ছিলেন মিঠুন চৌধুরী। শেখ জামালের গোল করেন নুরুল আবসার।
ম্যাচের গোলদাতা এমিলি ম্যাচ শেষে মিঠুনের প্রশংসায় ছিলেন পঞ্চমুখ। তিনি বলেন, ‘আমাকে যেভাবে বলটি দিয়েছেন, দেশের অন্য কেউ পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। ও আসলে ট্যালেন্টেড ফুটবলার। এভাবে ওর অনেক যোগান থেকে অনেক গোল আছে আমার।’
Advertisement
সত্যিই দারুণভাবে বলটা দিয়েছিলেন মিঠুন। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক নিয়েছিলেন তিনি। এমিলিও সেটি পেয়ে দর্শনীয় হেডে সমতা আনেন ম্যাচে। ড্রয়ের পর বেশ স্বস্তিই দেখা গেলো মোহামেডান শিবিরে। হারলে অনেকটাই চাপে পড়তো সাদা-কালোরা। পরের ম্যাচে রহমতগঞ্জকে হারালেই তারা ওঠে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। ড্র করলেও শেষ আট নিশ্চিত হবে এমিলিদের, যদি রহমতগঞ্জ হেরে যায় শেখ জামালের কাছে।
এগিয়ে থাকার পরও জয় নিয়ে ফিরতে না পারায় হতাশ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি। ম্যাচের পর শেখ জামালের কোচ বলছিলেন, ‘আমার দল ইনজুরি জর্জরিত। আমি একাদশই তো তৈরি করতে পারছিলাম না। তারপরও এগিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু গোলটি ধরে রাখতে পারিনি। খেলোয়াড়দের মনোঃসংযোগের ঘাটতি ছিল বলেই গোল হজম করেছি আমরা।’
শেখ জামাল এগিয়েছিল ৩৬ মিনিটে। গোলটি মোহামেডান খেয়েছিল তাদের গোলরক্ষক লিটনের ভুলে। লিটন একটি আক্রমণ ঠেকাতে গিয়েই করেছিলেন ভুল। বল তার হয়ে চলে যায় শেখ জামালের নুরুল আবসারের পায়ে। সুযোগ মিস করেননি আবসার। অথচ শুরু থেকেই মোহামেডান ভালো খেলছিল।
ম্যাচের পর মোহামেডান অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি বলেন,‘আমাদের এ ম্যাচতো ড্র হওয়ার কথা না। ভালো খেলে নিজেদের ভুলে গোল খেয়েছি। আমার সমতার পর মিঠুন সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন।’
Advertisement
আরআই/এমএমআর/এমএস