বিশেষ প্রতিবেদন

হজ ফ্লাইট নির্বিঘ্ন করতে বিমানের নানামুখী তৎপরতা

হজ ফ্লাইটে ক্যাপাসিটি লসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় রাষ্ট্রয়াত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়, ট্রাভেল এজেন্ট ও হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন-হাবের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠকও করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

Advertisement

সূত্র জানায়, বৈঠকে বিমানে বহন করা সম্ভাব্য হজ যাত্রীদের ভাড়ার টাকা আগে পরিশোধের শর্ত দেয়া হয়েছে। অন্যথায় এ বছর হজ যাত্রীদের বিষয়ে বিমান কোনো দায়িত্ব নেবে না।

বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ জানান, অতীতের অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ বছর হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। হজ ফ্লাইট পরিচালনায় চারটি সুপরিসর উড়োজাহাজ লিজ নিতে যাচ্ছে বিমান। এয়ারক্রাফট, ক্রু, মেইনটেন্যান্স, ইন্স্যুরেন্স-এসিএমআই চুক্তির ভিত্তিতে উড়োজাহাজগুলো লিজ নেয়া হবে। লিজকালীন প্রতিটি উড়োজাহাজ দিয়ে কমপক্ষে ৭০০ ব্লক আওয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান।

তিনি আরও জানান, গত হজ মৌসুমে নিজস্ব উড়োজাহাজের পাশাপাশি দু'টি লিজের উড়োজাহাজ দিয়ে হজযাত্রী পরিবহন করা হয়। নিজস্ব উড়োজাহাজে হজ ফ্লাইট চালাতে গিয়ে সে সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট শিডিউল কাট-ছাঁট করতে হয়েছে। এবার এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নানামুখী কাজকর্ম শুরু করেছি।

Advertisement

জানা গেছে, ইতোমধ্যে লিজের এয়ারক্রাফট আনতে একটি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বিমান। সংস্থাটির কর্পোরেট প্ল্যানিং বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুর রহমান ফারুকী স্বাক্ষরিত ওই দরপত্রে বলা হয়েছে, আগ্রহী এয়ারলাইন্স, অপারেটর, এয়ারক্রাফটের মালিক, এয়ারক্রাফট নির্মাতাসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানিই কেবল এ দরপত্রে অংশ নিতে পারবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিমানের বহরে নিজস্ব চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ আছে। এছাড়া রয়েছে ভাড়ায় নেয়া দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, একটি এয়ারবাস এ ৩৩০ ও দুটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ। এসব উড়োজাহাজ দিয়ে ১৫টি আন্তর্জাতিক ও সাতটি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান।

এবারে প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার মুসল্লি হজ পালন করতে যাবেন। এদের অর্ধেক হজ যাত্রী পরিবহন করবে বিমান।

আরএম/এএইচ/এমএস

Advertisement