বরিশালের হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নান্টু বেপারীকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে হিজলা ও ভোলা পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। অপরদিকে, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী হত্যাকাণ্ডের হোতা রতন রাঢ়ী, তার ছেলে লিটন রাঢ়ী, লিটন রাঢ়ীর শ্বশুর বাড়ি, রতন বেপারীর মেয়ে জামাইসহ তার আট স্বজনদের বসতঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।ধুলখোলা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মুজাম্মেল হক জানান, সন্ধ্যায় নান্টু উপজেলার আলীগঞ্জ বাজার থেকে ট্রলারযোগে ধুলখোলা আদর্শ চরে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডাকাত দলের সদস্য রতন বেপারী, তার ছেলে লিটন বেপারী ও বাবুল বেপারীসহ ১০/১২ জনের একটি দল নান্টু বেপারীকে ধারালো অস্ত্রের মুখে ট্রলার থেকে অপহরণ করে উপজেলার মাটিয়াাল চরে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রাখে। রাতে চরের লোকজন নান্টুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাহ সেকান্দার তুহিন তাকে (নান্টু) মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রতন রাঢ়ী ও তার আট স্বজনের বসতঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। ধুলখোলা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাতুব্বর জানান, রতন রাঢ়ী ও তার ছেলেরা সক্রিয় ডাকাত দলের সদস্য। নিহত ইউপি মেম্বর নান্টু প্রায়ই তাদের এ কাজে বাধা দিত। আর এরই জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার জানান, জলিল রাঢ়ী ও কামাল জমাদ্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ভোলার রামদাসুপুরের কাতেরহাট এলাকা থেকে দুপুরে ভোলা পুলিশ আরো পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আনতে হিজলা থানা থেকে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিহতের ভাই নাগর বেপারী বাদী হয়ে ১১ জন নামধারী ও অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জনে অভিযুক্ত আসামি করে মামলা করেছে। তিনি আরো জানান, প্রধান আসামি রতন রাঢ়ী ও তার ছেলেরা। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অগ্নিসংযোগের বিষয়ে হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার জানান, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী মাটিয়ালা চরের মধ্যে থাকা কয়েকটি টং ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে।সাইফ আমীন/এআরএ/পিআর
Advertisement