ন্যু ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাবেন নেইমার- এই সংবাদ জানার পরই কেন যেন আতঙ্ক ভর করেছিল পুরো বার্সেলোনা ক্লাবে। সেই আতঙ্ক আরও বেড়ে গিয়েছিল, স্প্যানিশ সুপার কাপে পরপর দুই ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারার কারণে; কিন্তু গত ৫ মাসে পরিস্থিতি এমনভাবে বদলে গেলো, এফসি বার্সেলোনার কেউ এখন আর নেইমারের কথা মনেই করে না! কেউ তার অভাব আর বোধই করে না! স্প্যানিশ জনপ্রিয় দৈনিক মার্কার এক বিশ্লেষণে ওঠে এসেছে তথ্য।
Advertisement
নেইমার চলে যাওয়ার পরপরই সবাই ভেবেছিল, এ মৌসুমটা হয়তো বেশ খারাপ কাটবে বার্সার। কিন্তু বাস্তবতা হলো তার পুরোপুরি ভিন্ন। পথ তো কোনোভাবেই হারায়নি বার্সা। বরং তাদের পথচলা আরও সুসৃঙ্খল এবং মজবুত হয়েছে। আক্ষরিক অর্থে কোনো প্রভাবই যেন পড়েনি বার্সা স্কোয়াডে।
এমএসএন বলতে যে ত্রিফলাকে বোঝানো হতো, তার মধ্য থেকে ‘এন’ বিয়োগ। বাকি এমএস-এর অবস্থা অনেকেই মনে করেছিল খারাপ হবে। নেইমারের অনুপস্থিতিতে মেসি-সুয়ারেজের পারফরম্যান্সেও বেশ প্রভাব পড়বে বলে মনে করেছিল সবাই।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, নেইমার যখন বার্সায় ছিলেন তখন মেসি-সুয়ারেজের পারফরম্যান্স যা ছিল তার চলে যাওয়ার পর একই থাকলো। কোনো পরিবর্তন তো হয়ইনি, বরং আরও শানিত হয়েছে। গত বছর নেইমার থাকতে মেসি-সুয়ারেজ মিলে মৌসুমের প্রথমার্ধে গোল করেছিলেন ৩০টি। এ মৌসুমেও অর্ধেক পার হওয়ার পর সমান গোলই করেছেন মেসি-সুয়ারেজ। বরং, নেইমার আগের মৌসুমের প্রথমার্ধে যে ক’টি গোল করেছিলেন- এবার সেগুলো পূরণ করে দিয়েছেন পওলিনহো।
Advertisement
ব্রাজিলিয়ান এ মিডফিল্ডার বিভিন্ন ম্যাচের খুব কার্যকরী সময়ে এসে গোল করছেন। যে কারণে মৌসুমের অর্ধেক শেষে দেখা যাচ্ছে ৮টি গোল তার নামের পাশে। গত মৌসুমে এ সময়ে নেইমারের যে গোলসংখ্যা ছিল, তার চেয়ে ৫টি বেশি।
শুধু তাই নয়, নেইমারের চলে যাওয়ার কারণে বার্সার টিম কম্বিনেশনে আরও একটি সুবিধা তৈরি হয়েছে। লেফট ব্যাক জর্দি আলবা এখন নিয়মিতই গোলের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। বাম পাশ ধরে উঠে এসে মেসি-সুয়ারেজদের বলের জোগান দিচ্ছেন সরাসরি। নেইমার থাকাকালীন তাকে এড়িয়ে জর্দি আলবার মোটেও ওপরে উঠে আসার সুযোগ ছিল না।
আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement