জাতীয়

যশোর রোডের শতবর্ষী বৃক্ষ নিধনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

উন্নয়নের নামে যশোর রোডের মুক্তিযুদ্ধ, প্রকৃতি ও ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী বৃক্ষ নিধনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন।

Advertisement

যশোর বেনাপোল সড়কের ৩৮ কিলোমিটারের দু'পাশেই অন্তত ৫০ ফুট করে জমি রয়েছে সরকারের। ফলে দুই হাজারের বেশি গাছ না কেটে এবং শতবর্ষী রেইনট্রি অক্ষত রেখেই এ সড়ক সম্প্রসারণ সম্ভব বলেও জানান তারা।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), তরুপল্লব, নাগরিক উদ্যোগ, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ, গ্রিন ভয়েস যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তরুপল্লবের সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য যশোর রোডের শতবর্ষী গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হবে আত্মবিধ্বংসী। উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের আগে পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনা করা জরুরি। অথচ উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে।

Advertisement

যশোর রোডের গাছের ওপর একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হাবিব। এতে বলা হয়, যশোর-কলকাতা পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার সড়কের গাছগুলো বনভূমির আকারে থাকলে ৩৬ হাজার হেক্টরের বনের সমান হতো। এ গাছগুলো ৯ লাখ ১২ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে ছায়া দিচ্ছে। এ সড়কের দুই পাশে ৫০ ফুট করে জায়গা ইতোমধ্যে সরকার অধিগ্রহণ করে রেখেছে। কাজেই গাছ না কেটেও সড়ক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাব করা হয়, বর্তমানে যশোর বেনাপোল সড়কের উত্তর বা দক্ষিণ কিংবা উভয় পাশ দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা করা যেতে পারে। যেখানে একপাশ দিয়ে থাকবে সাধারণ ও কম গতির যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা। সেটি দুটি লেনের হলেই চলবে। মাঝখানে থাকবে গাছের সারি। এ লেনের জন্য মাটির কাজও বেশি দরকার হবে না। বন্যামুক্ত এলাকা হওয়ায় তা উঁচু করার দরকার হবে না।

বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, বাপার যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবিরসহ অন্যরা।

এএস/এসআই/এএইচ/আইআই

Advertisement