ব্যবধানটা হয়ে গেল ৪-০। পাকিস্তানকে আবারও হেসেখেলেই হারালো নিউজিল্যান্ড। হ্যামিল্টনে দিবারাত্রির চতুর্থ ওয়ানডেতে সফরকারিদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে কেন উইলিয়ামসনের দল। ২৫ বল হাতে রেখে পাওয়া এই জয়ে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল কিউইরা।
Advertisement
পাকিস্তানের পুঁজিটা একদম খারাপ ছিল না। চার ব্যাটসম্যানের হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২৬২ রানের সংগ্রহ গড়েছিল সরফরাজ আহমেদের দল। জবাব দিতে নেমে একটা সময় বেশ বিপদে পড়লেও হেনরি নিকোলস আর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয় পেতে কষ্ট হয়নি কিউইদের।
শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ১১ রানের মধ্যেই ফিরেছেন ফাহিম আশরাফ আর বাবর আজম। দলের হাল ধরা ফাখর জামানও হাফসেঞ্চুরি করে (৫৪) সাজঘরের পথ ধরেন। তখনও পাকিস্তানের রান একশ পেরোয়নি। তবে একটা সময় ৩ উইকেটে ১২৩ রানে থাকা সফরকারিরা হঠাৎ ধাক্কায় ৫ উইকেটে ১৩০ রানে পরিণত হয়।
ফিফটি পূরণ করে বাবরের মতোই থামেন হারিস সোহেল (৫০)। শোয়েব মালিকও ৬ রানের বেশি এগুতে পারেননি। তবে দলের বড় বিপদের সময় ষষ্ঠ উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ হাফিজ আর সরফরাজ আহমেদ। আবারও হাফসেঞ্চুরিতে আটকে যান পাকিস্তানের আরেক ব্যাটসম্যান, সরফরাজ ফিরেন ৫১ রানে।
Advertisement
পরের সময়টায় দলকে টেনে নেয়ার দায়িত্ব বলতে গেলে একাই সামলেছেন হাফিজ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংসের একদম শেষ বলে রানআউট হয়েছেন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের ৮১ রানের ইনিংসটি ছিল ৮০ বলের, ৫ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় সাজানো।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩টি উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি। ২টি উইকেট কেন উইলিয়ামসনের।
জবাব দিতে নেমে মার্টিন গাপটিল আর কলিন মুনরো দুরন্ত সূচনা করেছেন। ৮৮ রানের জুটি গড়ে শাদাব খানের শিকার হয়ে ফিরেছেন মুনরো (৫৬)। নিজের পরের ওভারে গাপটিলকেও (৩১) তুলে নিয়েছেন এই লেগস্পিনার। তারই ঘুর্ণিতে সাজঘরে ফিরেছেন টম লাথাম (৮)। মাঝে রস টেলরকে (১) এলবিডব্লিউ করেছেন রুম্মান রইস। ৯৯ রানে তখন ৪ উইকেট নেই নিউজিল্যান্ডের।
এরপর ৩২ রান করে হারিস সোহেলের শিকার হন কেন উইলিয়ামসন। পরের সময়টা শুধুই হেনরি নিকোলস আর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের। ষষ্ঠ উইকেটে ৯৯ রানের জুটিতে দলকে একেবারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন এই যুগল। নিকোলস ৭০ বলে ৫২ আর গ্র্যান্ডহোম ৪০ বলে ৭৪ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। গ্র্যান্ডহোমের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার আর ৫টি ছক্কার মার।
Advertisement
পাকিস্তানের পক্ষে ৩টি উইকেট শাদাব খানের। একটি করে উইকেট নিয়েছেন রুম্মান রইস আর হারিস সোহেল।
এমএমআর/আরআইপি