মাঠের মধ্যে আক্রমণাত্মক অঙ্গভঙ্গি নতুন নয় বিরাট কোহলির ক্ষেত্রে। কোনো বিষয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে আর্গুমেন্ট করতে গেলেও সীমা ছাড়িয়ে যান তিনি। এ ইতিহাসও অতীত। যা থেকে বেরোতে পারলেন না চলতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও। সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্টস পার্ক স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্টের তৃতীয় দিন আম্পায়ারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে জরিমানা গুণতে হচ্ছে ভারত অধিনায়ককে। ম্যাচ ফি’র ২৫ ভাগ জরিমানা করা হয়েছে তার। একই সঙ্গে নামের পাশে যোগ হচ্ছে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট।
Advertisement
সেঞ্চুরিয়নে টেস্টের তৃতীয় দিনটা কোহলির জন্য দারুণভাবেই শুরু হয়েছিল। ক্যারিয়ারে ২১তম সেঞ্চুরি উপহার দেন তিনি। তার ১৫৩ রানের ওপর ভর করে ভারতও দারুণ সংগ্রহ পায়। সে দিনই কি না অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে জরিমানার মুখে পড়তে হলো তাকে।
ভেজা আউটফিল্ডের কারণে বলের ওপর প্রভাব ফেলছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের ২৫তম ওভারে বৃষ্টির প্রভাবে বলের আকারে কিছুটা পরিবর্তন হওয়ার কারণে আম্পায়ার মাইকেল গফের কাছে অনবরত অভিযোগ করে যাচ্ছিলেন কোহলি। যা ভদ্র আচরণের সীমা ছাড়িয়ে অনেকটা অভদ্র হয়ে উঠেছিল। এ নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যও বিনিময় হয় ভারত অধিনায়কের। আইসিসির খেলোয়াড় আচরণবিধির যা সুস্পষ্ট পরিপন্থি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, ‘কোহলি আইসিসির আইনের লেভেল ১ ভঙ্গ করায় তার ভাগ্যে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট জুটেছে। একই সঙ্গে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। আইসিসির ধারা ২.১.১ অনুযায়ীই এ শাস্তি পাচ্ছেন বিরাট।’
Advertisement
তৃতীয় দিন শেষ হওয়ার পর কোহলির বিপক্ষে রিপোর্ট জমা দেন অনফিল্ড আম্পায়ার মাইকেল গফ এবং পল রেইফল। সঙ্গে ছিলেন টিভি আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবার্গ এবং আল্লাহুদিয়েন পাল্লেকর। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের কাছে কোহলি নিজের দোষ স্বীকার করে নেন। যে কারণে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি এবং সর্বনিম্ন শাস্তিই পেয়েছেন তিনি। এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ ৫০ ভাগ ম্যাচ কেটে রাখারও নিয়ম রয়েছে।
আইএইচএস/এমএস