রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১২ জানুয়ারি (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষায় অব্যস্থাপনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে গভর্নর ফজলে কবির নেতৃত্বে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও মহাব্যবস্থাপক জী এম আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাগো নিউজকে তিনি বলেন, সরকারি ৮ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে গভর্নরের নেতৃত্বে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ৮ ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক-১ আহমেদ জামালের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সোনালী, জনতা, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে (রাকাব) প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন মহাব্যবস্থাপক থাকবেন।
জানা গেছে, তদন্তকালে নিয়োগ পরীক্ষায় সৃষ্ট জটিলতা বিষয়ে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির ম্যানেজমেন্টের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবেন এবং তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ৮ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার পুনরায় তারিখ নির্ধারণ হবে। একই সঙ্গে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে তাও জানানো হবে।
Advertisement
জরুরি সভায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগের দায়িত্বে থাকা ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটিসহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় গত শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সরকারি ৮ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে আলোচনা হয়।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৮ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় রাজধানীর মিরপুরে শাহ আলী মহিলা কলেজে ৫ হাজার ৬০০ পরীক্ষার্থীর বসার পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না। শত শত পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে বসার জায়গা দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এমন অব্যবস্থাপনার কারণে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা কলেজের জানালা-দরজা ভাঙচুর করে। বাধ্য হয়ে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে এবং ২০ জানুয়ারি শুধু ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
৫ হাজার ৬০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ৬০০ জনের পরীক্ষা মিরপুরে শাহ আলী মহিলা কলেজে এবং ৪ হাজার পরীক্ষার পরীক্ষা মিরপুর বাংলা কলেজে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর ১২ জানুয়ারির পুরো পরীক্ষা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন পরীক্ষার্থীরা।
গতকাল সোমবার আন্দোলনরত অবস্থায় দৈনিক বাংলা মোড় থেকে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরপর দুপুরে আটকদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দেওয়াসহ অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন আন্দোলনকারীরা।
Advertisement
এসআই/এনএফ/জেআইএম