আইন-আদালত

ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের মোবাইল জব্দ

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানির সময় সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের মোবাইল হঠাৎ বেজে ওঠার কারণে তা ১৫ মিনিটের জন্য জব্দ করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। এরপর মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।

শুরুতে মোবাইল কোর্টের পক্ষে শুনানি করতে ডায়াসের সামনে আসেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এম আমীর- উল ইসলাম। শুনানির এক পর্যায়ে ব্যারিস্টার এম আমীর -উল ইসলামের মোবাইল হঠাৎ বেজে ওঠে।

এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে হেসে বলেন,আইন সবার জন্য সমান। আপনাকে যদি কনসিডার করি তাহলে অন্যরা ভাববে সিনিয়র দেখে কনসিডার করা হলো। আপনার মোবাইল ফোনটি দেন। এটা ১৫ মিনিটের জন্য ‘সিজ’ করা হলো, আদালতের হেফাজতে নেয়া হলো।

Advertisement

ব্যারিস্টার এম. আমীর উল ইসলামও হাসি মুখে মোবাইল ফোনটি বেঞ্চ অফিসারের হাতে তুলে দেন। এরপর আবার শুনানি শুরু হয়। সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্য অনুযায়ী, মামলা চলাকালীন সময়ে আদালত কক্ষে মোবাইল ফোন বেজে উঠলে তা জব্দ করার এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা করা হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি মো. দেলাওয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আদালত কক্ষে মোবাইল ফোন বেজে উঠলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোবাইল জব্দ করা সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্য, অলিখিত নিয়ম।

নিজের বিচারিক জীবনের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, একবার আদালত চলাকলীন সময়ে আমার ফোন বেজে উঠেছিল। তখন বিচারক হওয়ার পরেও আমার নিজের (মুঠোফোন) ফোন বিচার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জব্দ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলাম।

এফএইচ/এনএফ/আরআইপি

Advertisement