আন্তর্জাতিক

৩৫ বছর পর সৌদির সিনেমা হলে শিশুরা

অস্থায়ী থিয়েটারে শিশুতোষ সিনেমা দিয়েই যাত্রা শুরু হলো সৌদি চলচ্চিত্রের। দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় পরে সিনেমা হলে বসেই সিনেমা উপভোগ করেছে শিশুরা। দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে সিনেমা নিষিদ্ধ ছিল। অবশেষে একটি অস্থায়ী থিয়েটারে শিশুদের জন্য সিনেমার আয়োজন করা হয়।

Advertisement

কট্টরপন্থী সৌদিতে ৩৫ বছর ধরে সিনেমা নিষিদ্ধ ছিল। শনিবার প্রথমবারের মতো শিশুদের জন্য জেদ্দার একটি অস্থায়ী থিয়েটারে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়। জেদ্দার রেড সি সিটির সাংস্কৃতিক হলে প্রজেক্টর ও লাল গালিচা বসিয়ে থিয়েটার তৈরি করা হয়েছিল। উৎসবের প্রথমদিনেই শিশুদের অ্যানিমেশন মুভি দেখানো হয়। নারী-পুরুষসহ সব বয়সী সৌদিদের উপস্থিতিতে প্রথমদিনের প্রথম মুভির শো বেশ জমজমাট ছিল।

তবে স্থায়ীভাবে দেশটিতে থিয়েটার চালু হবে আগামী মার্চ মাসে। এর আগেই দেশটিতে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে নারীর গায়িকা দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছেন। কমেডি শোসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদির ভিশন ২০৩০ পূরণের লক্ষ্যে নারী ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিচ্ছে সৌদি। ২০১৮ সালে জুন থেকে গাড়ি চালানোর অনুমতিও পাচ্ছেন নারীরা। ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারীদের বেশি বেশি সুযোগ-সুবিধা এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।

Advertisement

সৌদিতে ১৯৮০ সালের দিকে ইসলামপন্থিদের চাপে পড়ে সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা আনে সৌদি। তারপর থেকেই দেশটিতে সিনেমা দেখার কোনো সুযোগ ছিল না।

থিয়েটারে বসে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ২৮ বছর বয়সী সুলতান আল ওতাইবি বলেন, বাড়িতে বসে থাকার চেয়ে সৌদির লোকজন থিয়েটারে বসে মুভি দেখাতেই বেশি আনন্দ পাচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সৌদির হাজার হাজার নাগরিক বিনোদনের জন্য বাহরাইন বা আরব আমিরাতে যায়। সরকার চায় সাধারণ নাগরিকরা যেন এসব সুবিধা দেশেই ভোগ করতে পারেন। ফলে দেশের অর্থ দেশেই থাকবে।

টিটিএন/পিআর

Advertisement