আইন-আদালত

শিশু আইন সংশোধনীর বিষয়ে আদেশ ১২ ফেব্রুয়ারি

শিশু আইনে অস্পষ্টতা দূর করতে সংশোধিত খসড়া প্রস্তাব সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আইন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের এমন তথ্য হাইকোর্টকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। এরপর এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার জন্য আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।

Advertisement

সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আইনের সংশোধন বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ। প্রতিবেদনের সঙ্গে খসড়া সংশোধনী প্রস্তাবগুলোও আদালতে দাখিল করা হয়।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন শামীম।

শুনানি নিয়ে আদালত খসড়াটি নথিভুক্ত করে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছেন।

Advertisement

শুনানিকালে আদালত বলেছেন, আশা করি বিষয়টি তাড়াতাড়ি শেষ করা হবে। আগামী ২৮ জানুয়ারি পযন্ত সংসদ অধিবেশন চলবে আশা করি এর মধ্যে বিষয়টি শেষ হবে।

এর আগে গত ১২ নভেম্বর হাইকোর্ট শিশু আইনের অস্পষ্টতা দূর করতে আইন সংশোধন বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। ২৯ অক্টোবর হাইকোর্ট শিশু আইনের অস্পষ্টতা দূর করতে আইনটির সংশোধন বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সহিদুল হক ও সমাজকল্যাণ সচিব জিল্লার রহমানকে ১২ নভেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। সেদিন আদালত দুই সচিবের বক্তব্যও শোনেন। সচিবের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০১৩ সালের শিশু আইনের সংশোধনী চূড়ান্ত করতে সময় দিয়ে আজ দিন রাখেন।

আইন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব প্রশাসন-২ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, ২০১৩ সালের শিশু আইনের সংশোধন-সংক্রান্ত প্রস্তাব নিরীক্ষা করে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সংশোধিত খসড়া আইনটি জাতীয় সংসদে উত্থাপনসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় হিসেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কর্মপরিধিভুক্ত। বিষয়টি হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চকে জানাতে অনুরোধ করা হয়।

এফএইচ/এমবিআর/এমএস

Advertisement