আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর পর্দা উঠবে তিন জাতি ক্রিকেটের। শেরে বাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসরের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বিস্ময়কর হলেও সত্য, ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে একটি ওয়ানডেও খেলেনি মাশরাফির দল। ১৫ মাস পর ঘরের মাঠে প্রথম ওয়ানডে দিয়েই শুরু হচ্ছে টিম বাংলাদেশের ২০১৮।
Advertisement
নতুন বছর, নতুন আসর এবং নতুন টিম ম্যানেজমেন্ট। হাথুরুর বদলে দল গোছানোর দায়িত্ব পেয়েছেন সুজন। জিম্বাবুয়ে আর শ্রীলঙ্কার শক্তি-সামর্থ, গঠন শৈলি এবং তাদের গতি প্রকৃতির চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দল সাজানো থেকে শুরু করে লক্ষ্য ও কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন পর এবার দলগঠনে নির্বাচকরা নিজেদের মতো করে দল সাজিয়েছেন। অধিনায়ক মাশরাফির মতামতও যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ও অধিনায়ক মাশরাফি মিলেই সাজিয়েছেন প্রথম একাদশ। ১৫ জানুয়ারি প্রথম দিন জিম্বাবুয়ে বধের কৌশলও এঁটেছেন সুওজন মাশরাফি মিলেই। টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে তিন নম্বরে উঠে এসেছেন সাকিব আল হাসান।
আগেই জানা হয়েছে, তামিম ইকবালের সঙ্গে প্রথম দিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ওপেন করতে যাচ্ছেন এনামুল হক বিজয়। ওপেনিংয়ে তামিম একদিকে নিয়মিত ভালো খেলে রান করছেন। তার সঙ্গী হিসেবে কখনো ইমরুল, কোন সময় এনামুল হক বিজয় আবার কোন সময় সৌম্য বা লিটন কাজ চালিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তিন নম্বরে সে অর্থে কার্যকর পারফরমার নেই। তাই বেশ কিছু দিন ধরেই তিন নম্বর পজিশনটি নিয়ে চলছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
ওয়ানডে ক্রিকেটে যে সময়টাকে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বর্ন সময় বলা হয়, সেই সময়ও তিন নম্বর পজিশনই ছিল নড়বড়ে। নিকট অতীত ও সাম্প্রতিক সময়ে যিনি তিন নম্বরে খেলেছেন বেশ কটি ম্যাচ, সেই লিটন দাস এবার ঘরের মাঠে তিন জাতি ক্রিকেটে দলেই নেই। ওদিকে ইমরুলও শতভাগ ফিট নন।
Advertisement
মাঝে ১৪ ম্যাচ ওয়ান ডাউন খেললেও সাম্প্রতিক ফর্মটা তেমন ভালো না। তাই সাব্বির রহমানকে তিন নম্বর থেকে নিচে খেলানো হচ্ছে। আর পাঁচ থেকে উপরে উঠিয়ে ওয়ান ডাউনে নিয়ে আসা সাকিবকে।
এআরবি/এমআর/জেআইএম