দেশজুড়ে

নাইট ক্লাব আর পানশালা না থাকায় পর্যটকরা আসে না

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না থাকায় বিদেশি পর্যটকরা আমাদের দেশের পর্যটন এলাকায় আসতে চায় না।

Advertisement

তিনি বলেন, কক্সবাজার নিয়ে আমরা অনেক কথা বলি। পৃথিবীর দীর্ঘতম বিচ। কিন্তু এখানে বিদেশিরা কেন আসে না। কারণ এখানে বিদেশি পর্যটকদের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার তা নেই। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের আইনগত বাধাও আছে। আমরা যেমন নাইট ক্লাব করতে দেব না, তেমনি বার ও পানশালা করারও সুযোগ দেব না। এসব সুযোগ-সুবিধা না দিলে বিদেশি পর্যটকরা আসতে চায় না।

রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাসব্যাপী লোক-কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, সোনারগাঁয়ের পানাম সিটিতে বিদেশিরা কেন আসেন। কারণ আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সভ্যতা দেখতে আসেন তারা। বগুড়া, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, কান্তজির মন্দির, লালবাগ কেল্লা, ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখতে যান তারা। কিন্তু সমুদ্র সৈকত দেখতে যান না পর্যটকরা। এটা আমাদের অনুধাবন করা প্রয়োজন।

Advertisement

তিনি বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ। প্রাচীন সম্পদগুলোকে রক্ষা করে আরও আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। পাহাড়পুর, শীতল পাটি, জামদানি, বাউল গান, মঙ্গল শোভাযাত্রা, ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত হয়েছে। এটা একদিকে আমাদের জন্য গর্বের অন্যদিকে লজ্জার। কারণ আমরা দেশের সম্পদকে মূল্যায়ন করতে পারিনি। প্রাচীন ঐতিহ্যকে আমরা সম্মান করি না। অথচ বিদেশিরা তাদের দেশে আমাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন।

সংস্কৃতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। তারই নেতৃত্বে দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে রূপান্তরিত করতে চাই। দেশের মানুষ ধ্বংসাত্মক রাজনীতি চায় না। হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ হত্যার রাজনীতি দেখতে চায় না। মানুষ শান্তিতে চলতে চায়, শান্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করে বাঁচতে চায়।

তিনি বলেন, ২০০৪ সালে দেশের মানুষ না খেয়ে মারা গিয়েছিল। আজ মানুষ আর না খেয়ে মরে না। উত্তরবঙ্গের মঙ্গায় মানুষ না খেয়ে থাকতো। আজ সেই মঙ্গার মানুষের হাতে মোবাইল। যারা একসময় না খেয়ে থাকতো তারা আজ মোবাইল ব্যবহার করে। ৫০০/১০০ টাকা মোবাইলে খরচ করে তারা। কাজেই বুঝতে হবে দেশ কতটা উন্নত হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান, সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনুর ইসলাম, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজুর রহমান কালাম ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি প্রমুখ।

Advertisement

মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/আরআইপি