জাতীয়

আবারো বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হলেন শামসুজ্জামান খান

বিশিষ্ট ফোকলোরবিদ ও গবেষক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে পরবর্তী তিন বছরের জন্য পুনঃর্নিয়োগ লাভ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় তার কর্মস্থলে যোগদান করেন।এ সময় বাংলা একাডেমির সাবেক সচিব এবং বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আলতাফ হোসেন, একাডেমির পরিচালক, উপ-পরিচালক সহপরিচালকগণ এবং কর্মকর্তাবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।বাংলা একাডেমির কর্মচারি ইউনিয়নও মহা-পরিচালককে ফুল দিয়ে স্বাগত জানায়। এছাড়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার উপউপাচার্য ড. শাহীনুর রহমানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দও তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।মহা-পরিচালক হিসেবে যোগদান করে তার প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাসিক্ত জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি আমার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। আগামী দিনগুলোতে আমার লক্ষ্য হবে বাংলা একাডেমিকে একটি গবেষণাপ্রবণ আন্তর্জাতিক মানের বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষ কেন্দ্রে পরিণত করা।তিনি বলেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা একাডেমি সাম্প্রতিক কয়েক বছরে যে বিপুল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও আন্তর্জাতিক মানের প্রকাশনা ও গবেষণাকর্ম বাস্তবায়ন করেছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পাশাপাশি শীঘ্রই বাংলা একাডেমির ষাট বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গৃহীত হবে।তিনি একাডেমির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান ১৯৪০ সালের ২৯ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। অধ্যাপনা দিয়ে তার কর্মজীবনের শুরু। বিভিন্ন সময়ে তিনি বাংলা একাডেমির পরিচালক, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তার ফোকলোর বিষয়ক গবেষণা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির নানা বিষয়ে তার রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় একশত। তিনি রাষ্ট্রীয় একুশে পদকসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।এসএইচএস/আরআই

Advertisement