আন্তর্জাতিক

গণকবরে ১০ রোহিঙ্গা, নিষ্পাপ দাবি আরসার

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইনের গণকবরে যে ১০ রোহিঙ্গা মুসলিমের মরদেহ পাওয়া গেছে তারা ‘নিষ্পাপ বেসামরিক’ ছিলেন বলে শনিবার দাবি করেছে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। রয়টার্স বলছে, একই সঙ্গে ওই রোহিঙ্গারা আরসার সদস্য ছিল না বলেও জানানো হয়েছে।

Advertisement

মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করে গত সপ্তাহে। এ সময় বলা হয়, গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে বিদ্রোহীদের হামলার সময় ১০ মুসলিম ‘সন্ত্রাসী’কে আটক করে সেনাবাহিনী। পরে বৌদ্ধ গ্রামবাসীরা কবর খুঁড়ে রোহিঙ্গাদের মাটিচাপা দেয়।

পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইনে অভিযানের সময় প্রথমবারের মতো অপরাধের বিরল স্বীকারোক্তি দেয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

গত আগস্টের শেষের দিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখাইন প্রদেশে নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে আরসার হামলার পর ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। আরসা বলছে, তারা বার্মা সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধের স্বীকারোক্তিকে সর্বাত্মকভাবে স্বাগত জানাচ্ছে।

Advertisement

আরসা টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে বলছে, ‘ইন দিন গ্রামের গণকবরে পাওয়া ১০ বেসামরিক রোহিঙ্গার কেউই আরসা কিংবা আরসার অন্য কোনো সংগঠনের সদস্য ছিলেন না।’ আরসার এ বিবৃতির পর মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ্য হতেই বলেছেন, কখনো কখনো সন্ত্রাসী এবং গ্রামবাসীরা মিলিত হয়ে একযোগে নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর হামলা চালায়।

তবে আরসার বিবৃতির ব্যাপারে মন্তব্য জানতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারের প্রধান অং সান সু চি বলেছেন, সৈন্যদের কর্মকাণ্ডের দায় নেয়াটা সেনাবাহিনীর জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনোর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সু চি বলেন, ‘এটা আমাদের দেশের জন্য নতুন ধাপ।’

সূত্র : রয়টার্স।

Advertisement

এসআইএস/আরআইপি