দেশজুড়ে

শীতে নওগাঁয় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

হিমালয়ের বরফগলা হাওয়ায় কাঁপছে উত্তরের জনপদ। তার উপর আবার ঘন কুয়াশা। ফলে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। হাড় কাঁপানো শীত একপ্রকার অভিশাপ হিসেবেই দেখা দিয়েছে নওগাঁ জেলার গরিব ও অসহায়দের কাছে।

Advertisement

উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত কয়েকদিনে নওগাঁয় বেড়েছে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। ফলে নওগাঁ সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেডে জায়গা না হওয়ায় শিশু ওয়ার্ডের মেঝেতেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ওষুধেরও সংকট দেখা দিয়েছে।

গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু হয়ে পড়েছে জেলাবাসী। ফলে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের অনেকেই ঠান্ডাজনিত সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দুপুর নাগাদ কিছুটা হালকা রোদের দেখা মিললেও সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া।

জেলার বদলগাছী উপজেলার হাজীপুর গ্রামের আকাশী বলেন, দুদিন আগে বাচ্চার হঠাৎ করেই পাতলা পায়খানা শুরু হয়। স্যালাইন খাওয়ানোর পরও কোনো কাজে আসেনি। অবশেষে হাসপাতালে আসি।

Advertisement

নওগাঁ সদর হাসপাতালের স্টাফ নার্স সিমা আক্তার বলেন, হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশু ওয়ার্ডে বেডে জায়গা হচ্ছে না। তাই মেঝেতে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এক বেডে ২-৩ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এতে অভিভাবক এবং শিশুরাও কষ্ট পাচ্ছেন। চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে রিতিমতো আমরাও হাপিয়ে উঠেছি।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মুনির আলী আকন্দ বলেন, হাসপাতালে অন্যান্য রোগীর তুলনায় শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন ডায়রিয়া এবং ১০ জন নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া বয়স্ক শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা রোগী গড়ে ১৫ জন ভর্তি হচ্ছে। হঠ্যাৎ করে শীতের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ওষুধের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে।

আব্বাস আলী/এফএ/এমএস

Advertisement