শেকড়ের টানে ঘরে ফেরা মানুষের জনস্রোতে পরিণত হয়েছে রাজধানীর কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনাল। বৃহস্পতিবার সেহরির পর থেকে লোকজনের আনাগোনা বাড়তে থাকে বাস টার্মিনালে। কাউন্টারগুলোও মানুষে টইটুম্বুর।কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, আজ (বৃহস্পতিবার) কাউন্টারগুলোতে মানুষের প্রচন্ড চাপ। অগ্রিম টিকিটের সময়ই বোঝা গেছে ১৫, ১৬ ও ১৭ জুলাই কাউন্টারগুলোতে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়বে।কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে মূলত: উত্তরাঞ্চল রুটে চলাচলকারী মানুষের সংখ্যাই বেশি। সকাল থেকেই তাই হাজার-হাজার মানুষে ছুটে আসতে দেখা যায় বাস কাউন্টার গুলোতে। যদিও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গত সোমবার থেকে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ।বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদ আনন্দে হাসছে যেন পুরো কল্যাণপুর গাবতলী বাস টার্মিনাল। উত্তরাঞ্চলের মানুষের ভীড় কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনালে। উঠতি তরুণ তরুণীরা আসছে মা-বাবা কিংবা স্বজনদের হাত ধরে। হাতে ব্যাগ, চোখে কাউন্টার খোঁজার চাহুনি। দুই হাত ভর্তি ব্যাগও দেখা যায় অনেকের। অনেকে আবার স্বজনদের জন্য শপিং করে শ্রমিক ডেকে ব্যাগের ঘানি টানছেন।ভোর ৫টা থেকে বিভিন্ন রুটে গাড়ী চলাচল শুরু করছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঘরমুখো মানুষের মুখের হাসি দেখলে মনে হবে অগ্রিম টিকিট প্রাপ্তির কষ্টটা যেন কোনো ব্যাপর না। যাত্রা শুরুর আগ মুহুর্তে তাই সবার মুখে যেন আনন্দের হাসি।নওগার বাসিন্দা স্মার্ট টেকনোলজির কর্মকতা মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে বিয়ে করেছি। শশুড়বাড়ি রাজশাহীতে। সকাল সাড়ে ৯টায় বাস ছাড়বে। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাবা মার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি।কেয়া পরিবহনের কল্যাণপুর কাউন্টারের ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের সকাল থেকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে ৩টি ও বগুড়া-নওগাঁ রুটে ৪টি বাস ছেড়ে গেছে। রাস্তায় তেমন কোনো যানজটের খবর এখনো পাইনি। আশা করা যায় যথাসময়েই গন্তব্যে পৌঁছবে যাত্রীরা।হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর কাউন্টার কর্মকর্তা বাবুল জানান, সকাল থেকে অসংখ্য মানুষ আসছে। আজ (বৃহস্পতিবা) সারাদিন সবচেয়ে বেশি মানুষ যাতায়াত করবেন।তিনি আরো জানান, যাদের টিকিট দেয়া হয়েছে তারা ঠিকঠাক আসছেন কিনা আবার কেউ রাস্তায় আটকা পড়লেন কিনা সবই দেখতে হচ্ছে। বিভিন্ন রুটে সিডিউল বাসকে সহায়তায় রিজার্ভ বাসও রাখা হয়েছে।জেইউ/আরএস/আরআই
Advertisement