জাতীয়

আপিল করার সামর্থ্য নেই ফোরকান মল্লিকের

ট্রাইব্যুনালের রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিক নিতান্তই গরীব মানুষ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার আর্থিক সামর্থ্য নেই। এছাড়া ফোরকান মল্লিকের স্ত্রী জোবেদা বেগম দাবি করেন, পারিবারিক শত্রুতার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় তার স্বামীকে জড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের কাছে আইনজীবী আব্দুস সালাম খান ও তার স্ত্রী এসব কথা বলেন।আইনজীবী আব্দুস সালাম খান বলেন, অর্থিক সামর্থ্য না থাকলেও একজন আইনজীবী হিসেবে তার ও পরিবারের প্রতি আমার পরামর্শ হল আপিল করার।তিনি আরো বলেন, ফোরকান মল্লিক একজন নিতান্ত গরীব মানুষ। সে পরের বাড়ি কাজ করতো। তার রাজনৈতিক কোন পরিচয় নেই। তার ছেলে-মেয়েরা গার্মেন্টেসে কাজ করে সংসার চালায়। জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তার চাচাতো ভাই আব্দুল হামিদ ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছিলেন।আব্দুস সালাম খান জানান, তিনি এই মামলায় প্রায় ৬ বছর হাজিরা দিয়েছেন। শুধুমাত্র একদিন হাজিরা দিতে না পারায় তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়।ট্রাইব্যুনালে এ রায়ে কোনো ক্ষোভ আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না; আদালত যা করেছেন তার প্রতি আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। তবুও বলবো এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম সাক্ষীর তালিকায় ছিল কিন্তু তারা কেউ সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেনি।আইনজীবী দাবি করেন, ফোরকান মল্লিককে যেসব অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তিনি তার সাথে জড়িত ছিলেন না। এমনকি যাদের ভূক্তভোগী দেখানো হয়েছে তারাও বলেননি যে ফোরকান মল্লিক ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন।তিনি আরো জানান, মুক্তিযোদ্ধা দেবেন্দ্র ডাক্তারের মেয়ে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দিতে বলেছেন, আমার বাবা হত্যার সাথে ফোরকান মল্লিক জড়িত ছিলেন না।এদিকে ফাঁসির রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট। এ রায়ের মাধ্যমে জাতির আশা-আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়েছে।এফএইচ/আরএস/আরআই

Advertisement