পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের পাঞ্জাব প্রদেশে ৮ বছরের এক মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পুলিশ বলছে, পাঞ্জাবের একটি পুলিশ ও সরকারি ভবনে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। গত দুদিনের টানা বিক্ষোভ সংঘর্ষে রূপ নেয়ায় এখন পর্যন্ত অন্তত দুজনের প্রাণহানি ঘটেছে; আহত হয়েছে আরো অনেকে।
Advertisement
বার্তাসংস্থা এপি বলছে, পাঞ্জাবের কাসুর শহরে ধর্ষণের শিকার শিশু জয়নব আনসারির দাফন অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগেই ব্যাপক সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে উত্তেজিত জনতা।
গত সপ্তাহে কুরআন শেখার জন্য পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে যাওয়ার পথে শিশুটি নিখোঁজ হয়। ওই সময় শিশুটির বাবা-মা সৌদি আরবে অবস্থান করছিলেন। পরে বুধবার তারা দেশে ফিরে আসেন।
জয়নবের বাবা আমিন আনসারি বলেন, ‘ঘাতকরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমরা তাকে দাফন করবো না।’ পাঞ্জাবের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ইমরান নওয়াজ খান বলেন, ‘মঙ্গলবার একটি আবর্জনার স্তুপে জয়নবের মরদেহ পাওয়া যায়।’
Advertisement
পুলিশ বলছে, শিশুটিকে অপহরণের পর ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা মাকসুদ আহমেদ বলেন, চলতি মাসেই কাসুরে অন্তত ছয়জন মেয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার সঙ্গে শিশুটি হত্যার সম্পর্ক আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
ঘৃণ্য এ অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির সরকারের চরম নিন্দা জানিয়েছেন স্যোসাল অ্যাক্টিভিস্টরা।
বুধবার পাঞ্জাবের পুলিশ স্টেশনে উত্তেজিত জনতার হামলার ফুটেজ প্রকাশ করেছে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল। এতে দেখা যায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুড়ছে। পরে এক পর্যায়ে শীর্ষ এক কর্মকর্তা সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, শিশু জয়নবকে ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন লাহোর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। পুলিশের গুলিতে দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন কাসুর পুলিশের প্রধান জুলফিকার হামিদ।
Advertisement
তিনি বলেন, পুলিশ সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। শিশু হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের শীর্ষ এই কর্মকর্তা। জয়নব হত্যার প্রতিবাদে কাসুরের স্থানীয় দোকান মালিকরা বুধবার দোকান-পাট বন্ধ রেখেছেন।
সূত্র : এপি।
এসআইএস/জেআইএম