দেশজুড়ে

বিয়ের দাবিতে বেয়াইয়ের বাড়িতে বেয়াইন

পাবনার চাটমোহরে বিয়ের দাবিতে বেয়াইয়ের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে বেয়াইন। পরিবারের লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বেয়াইনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের চিনাভাতকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্বপনের পরিবারের লোকজন ওই স্কুলছাত্রীকে মারধর করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। স্বপন ওই গ্রামের বৈদ্যনাথ সরকারের ছেলে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ বছর আগে স্বপনের বড় ভাই প্রভাত সরকারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফরিদপুর উপজেলার হাদল গ্রামের জনৈক এক নারীর বিয়ে হয়। এরই সূত্র ধরে প্রভাতের শ্যালিকা হাদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে তার ছোট ভাই স্বপনের (২২) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

স্বপন ও মেয়েটি বেয়াই-বিয়ানের সম্পর্কের সূত্র ধরে একাধিক স্থানে বেড়াতে যায় এবং গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে মেয়েটি ছেলেটিকে বিয়ের চাপ দিলে সে কৌশলে এড়িয়ে যায়।

Advertisement

উপায় না পেয়ে মেয়েটি মঙ্গলবার বিকেলে বিয়ের দাবি নিয়ে স্বপনের বাড়িতে অবস্থান নেয়। এ সময় স্বপনের পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকনের জিম্মায় দেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাটমোহর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনার পর স্বপন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

স্কুলছাত্রীর ভাষ্য, স্বপনকে বিয়ে করা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। আমাকে বিয়ে করবে বলে সে আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। আমি তাকে ছাড়া বাঁচব না। বিয়ে না হলে আমি আত্মহত্যা করব।

এ বিষয়ে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন জানান, মেয়েটির বয়স কম। তারা সম্পর্কে আপন বেয়াই-বিয়ান। বিয়ে না দিলে আত্মহত্যা করবে এমন কথা বলার পর মেয়েটিকে আমি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।

জানতে চাইলে চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, মেয়েটি নাবালিকা। আত্মহত্যার হুমকি দেয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

Advertisement

এএম/পিআর