আইন-আদালত

‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সঙ্গে খালেদার কোনো সম্পর্ক নেই’

‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। বেগম জিয়া এই মমলায় ফুল খালাস পাবার হকদার। সাক্ষ্য-প্রমাণে তিনি নির্দোষ।’

Advertisement

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে ৯ম দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। যুক্তি উপস্থাপনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। বেগম জিয়া এই মমলায় ফুল খালাস পাবার হকদার। তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সাক্ষ্য-প্রমাণে তিনি নির্দোষ। খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য এ মামলাটি করা হয়েছে।’

এদিন বেগম খালেদা জিয়া বেলা ১১টা ৫ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হয়ে দুই মামলায় হাজিরা দেন। এ সময় জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দেন তিনি। এরপর বেলা ১১টা ১০ মিনিটে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।

Advertisement

এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও যুক্তি উপস্থাপনের জন্য একই দিন ধার্য করা হয়েছে।

১৯ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এরপর ২০, ২১, ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এবং ৩ ও ৪ জানুয়ারি খালেদার পক্ষে যুক্ত উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা। ৪ জানুয়ারি খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় ১০ ও ১১ জানুয়ারি পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

Advertisement

এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জেএ/এমবিআর/আরআইপি