জাতীয়

কাকরাইল মসজিদ চত্বর ঘিরে রেখেছে পুলিশ

তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা আসর নামাজের পর কাকরাইল মসজিদের সামনে জড়ো হবেন এ ঘোষণার পরই কাকরাইল মসজিদের চারদিক ঘিরে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।

Advertisement

তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভীকে বিকেলে কাকরাইল মসজিদের তাবলিগ জামাতের মারকাজে (অফিস) নেয়া হয়। এরপর বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ ঘোষণার প্রেক্ষিতে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সেখান থেকে দুইশ গজ দূরে হেয়ার রোডের মর্ডান টিপটপ মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে অনুরোধ জানাচ্ছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। কাকরাইল মসজিদের গেট পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার, রমনা ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহেল কাফি ও রমনা থানার ওসি কাজী মইনুল ইসলাম নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন। এদিকে মাওলানা মোহাম্মদ সাদকে ইজতেমা মাঠে ঢুকতে না দিতে ও কাকরাইলে অবরুদ্ধ রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিক্ষুব্ধ তাবলিগের অনুসারীরা। তারা বিমানবন্দর সড়ক ছেড়ে দিয়ে একদল টঙ্গীর দিকে আরেকদল কাকরাইল মসজিদ অভিমুখে রওনা হয়েছে।

বিতর্কিত ও আপত্তিকর মন্তব্যের কারণের সমালোচিত তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভীর আগমন ঠেকাতে বুধবার সকাল থেকে বিমানবন্দরের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তাবলিগ জামাতের একটি অংশ এবং আলেম-ওলামারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। দুপুর ১২টা থেকেই বিমানবন্দর মহাসড়কে যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৪টার দিকে পুলিশি প্রহরায় মাওলানা সাদকে কাকরাইল মসজিদে নেয়ার খবর পেয়ে আলেম-ওলামারা বিমানবন্দর মহাসড়ক যানবাহন চলাচল বন্ধ করে অবস্থান গ্রহণ করে।

Advertisement

এআর/ওআর/আরআইপি