অবশেষে ৫১ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু হলো হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের। বুধবার ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শুরু হলো নবনির্মিত এ মেডিকেল কলেজের পথচলা।
Advertisement
বুধবার থেকে মেডিকেল কলেজের ক্লাস শুরু হয়েছে। ফলে জেলাবাসীর স্বপ্নের বাস্তবায়ন হলো। মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু উপলক্ষে বুধবার আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা প্রাশাসক মনীষ চাকমা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামস ই আরেফিন।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আবু সুফিয়ান জানান, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর থেকে মেডিকেল কলেজটি চালুর ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেন। শিক্ষক ও কর্মচারী পদায়ন, ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করা, ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য পৃথক দু’টি হোস্টেল ভাড়া নেয়াসহ এর কার্যক্রম শুরু করেন। অবশেষে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়।
Advertisement
তিনি বলেন, আরও দু’জন শিক্ষক হলে আপাতত তেমন কোনো অসুবিধা থাকবে না। শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান পদায়ন করা হয়েছিল। গত ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তার যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু তিনি এখনও যোগদান করেননি। ফলে প্রাকটিক্যাল ক্লাস নিতে সমস্যা হতে পারে।
মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবিগঞ্জ সফরে আসেন। স্থানীয় নিউফিল্ডে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি যোগদান করেন। এ সময় সভায় উপস্থিত মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির জনসভায় দাবি জানান, মেডিকেল কলেজ এবং একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের।
তার ওই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী মেডিকেল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দেন। এর প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি মেডিকেল কলেজের প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়।
দীর্ঘদিন চিঠি চালাচালির পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান ডা. মো. আবু সুফিয়ান। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করলেও ক্লাস নেয়ার স্থানের অভাবে এ বছর শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনুমোদন পায়নি।
Advertisement
অবশেষে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ৫১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর মাঝে ৩৩ জন ছাত্রী ও ১৮ জন ছাত্র। আপাতত তাদের ক্লাস শুরুর জন্য নবনির্মিত ২৫০ শয্যা হাসপাতালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা নির্ধারণ করা হয়। এতে অধ্যক্ষসহ শিক্ষক নিয়োগ পান নয়জন। শুধু এনাডমি বিভাগে দুইজন শিক্ষকের অভাব রয়েছে।
গত ২০ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে প্রেষণে সিভিল সার্জন অফিসের ল্যাব টেকনিশিয়ান নিখিল শর্মাকে পদায়ন করা হয়।
আদেশে বলা হয়, ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় ২৬ ডিসেম্বর তিনি পুরোনো কর্মস্থল থেকে রিলিজ হয়ে যাবেন। কিন্তু ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি মেডিকেল কলেজে যোগদান করেননি।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এম/জেআইএম