দেশজুড়ে

গভীর রাতে দুস্থদের পাশে কম্বল নিয়ে জেলা প্রশাসক

পটুয়াখালী সদর উপজেলার পশ্চিম হেতালীয়া বাধঘাট আবাসনের চল্লিশোর্ধ্ব আনোয়ারা বেগম পেশায় একজন গৃহকর্মী। কনকনে শীতের মধ্যে পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে মেঝেতে ঘুমাচ্ছিলেন। বুধবার রাত ১২টায় ওই এলাকা পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমান। এসময় তিনি দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। কনকনে শীতে হঠাৎ কম্বল পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন আনোয়ারা বেগমসহ আবাসনে বসবাসকারী ৫ শতাধিক অসহায় মানুষ।

Advertisement

আনোয়ারা বেগম বলেন, সারাজীবন শুনেই গেছি শীতকালে সরকার কম্বল দেয়। কিন্তু চোখে দেখি নাই। আজ আল্লাহ আমাগো দুয়ারের দারে কম্বল পৌঁছাইয়া দেছে।

হাসিনা বেগম, সেফালী বেগম ও লিটন হাওলাদার বলেন, সাত বছর আবাসনে থাহি। কত শীতকাল গ্যাছে। কোনোদিন কোনো অফিসার আমাগো কাছে আসে নাই। আজ জীবনে প্রথম দেখলাম ও পেলাম।

এসময় জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমানও বলেন, 'তোমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করিও। তার দেয়া অনুদান তোমাদের কাছে পৌঁছে দিলাম।'

Advertisement

মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত জেলা প্রশাসন কর্তৃক চার শতাধিক কম্বল পথচারী ও আবাসনে বসবাসকারী দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোর পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এই কনকনে শীতে কোনো দুস্থ পরিবার যেন সরকারের বরাদ্দকৃত শীতবস্ত্র থেকে বাদ না পড়ে তাই সরকারের নির্দেশনায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসা উচিত।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/আইআই

Advertisement