কুড়িগ্রামে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলা জুড়ে শীতের ভয়াবহতা বিরাজ করছে। মানুষকে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হচ্ছে।
Advertisement
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে এক শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে এই শীতে কুড়িগ্রামে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ জনে। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, শীতজনিত রোগে নয় বরং বিভিন্ন রোগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে তারা মারা গেছেন।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানান, সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৮২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় এক শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কেউ শীতজনিত রোগে মারা যায়নি।
অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে কুড়িগ্রামের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। তীব্র ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার ফলে কাজে বের হতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষ। বিকেল থেকেই তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় কনকনে ঠান্ডায় মানুষজন খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এ অবস্থা চলছে দুপুর পর্যন্ত।
Advertisement
কনকনে ঠান্ডার ফলে বয়স্ক আর শিশুরা অল্পতেই কাহিল হয়ে পড়ছেন। দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে শীতার্ত মানুষ। সন্ধ্যার পরপরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গোটা এলাকা। প্রতিদিন হাসপাতালে বাড়ছে নতুন রোগীর সংখ্যা।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, জেলার ৯ উপজেলায় ইতোমধ্যে সরকারিভাবে ৫৭ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শুকনা খাবার পাওয়া গেছে ৪ হাজার প্যাকেট। নতুন করে আরো ৪০ হাজার কম্বল ও শিশু উপযোগী ১০ হাজার গরম কাপড়ের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
নাজমুল হোসেন/এফএ/আইআই
Advertisement