অর্থনীতি

সাংস্কৃতিক মঞ্চ এখন সেলফি স্পট

বাণিজ্য মেলায় এবার প্রথমবারের মতো দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা ছিল। এজন্য মেলা সচিবালয়ের পেছনে মঞ্চ তৈরির জন্য জায়াগা বরাদ্দ ছিল। মঞ্চের প্রাথমিক কাজও শেষ হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে মেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে উদ্যোগটি আলোর মুখ দেখেনি।

Advertisement

তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি মঞ্চটি মেলার নবম দিনে এসেও খালি পড়ে নেই। মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বিশ্রাম এবং সেলফি প্রিয় মানুষের কাছে এটি যেন তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, মেলা প্রাঙ্গণের যে অংশে সাংস্কৃতিক মঞ্চের স্থান নির্ধারণ হয়েছিল সেখানে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত শীতল পাটি। মঞ্চটি দৃষ্টিনন্দন করতে আয়োজকদের উদ্যোগের কোনো কমতি ছিল না। দেশীয় সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে নানা কারুকার্যের আশ্রয় নেয়া হয়েছিল।

সেখানে বসেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন দুই বন্ধু। বিশ্রামের ফাঁকে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। সাগর নামের এক বন্ধু জানান, তারা ধানমন্ডি থেকে এসেছেন। অনেক ঘোরাঘুরি করে ক্লান্ত হয়ে পড়ায় বিশ্রামের জন্য জায়গাটি বেছে নেন। মঞ্চটি বেশ সাজানো-গোছানো। এ কারণে কয়েকটি সেলফিও তোলেন।

Advertisement

অপর বন্ধু ফারাবি বলেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে ভালো হতো। শীতের মধ্যে একটু গান-বাজনার স্বাদ পাওয়া যেতো। তবে আগামীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটিয়ে এ ধরনের আয়োজনের দাবি জানান তিনি।

মঞ্চের অপর প্রান্তে কানন ও বিথী নামের দুই বান্ধবীকে সেলফি তুলতে ব্যস্ত দেখা যায়। কথা হয় তাদের সঙ্গে । কানন বলেন, মেলায় কেনাকাটার সঙ্গে একটু বিনোদন পেলে ভালো হতো। মঞ্চটিও সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে না তাই মঞ্চটি স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে কয়েকটা সেলফি তুলে নিলাম।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না হওয়ার বিষয়ে মেলার সদস্য সচিব আবদুর রউফ বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি ছিল কিন্তু সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশ প্রশাসনের দেয়া নির্দেশনায় শেষ পর্যন্ত তা স্থাগিত রাখা হয়। তবে আগামীতে মেলায় এ ধরনের আয়োজন থাকবে।

মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগীতের যে প্রভাব তা দর্শনার্থী বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজকে জানাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধে শেষ পর্যন্ত সেটা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে বরাদ্দের টাকা ফান্ডে থেকে যাচ্ছে। ওই অর্থে আগামীতে আমরা এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবো।

Advertisement

এমইউএইচ/এমএআর/জেএইচ/আইআই