জাতীয়

সংরক্ষিত ১৪৯১ পদে উপ-নির্বাচন ২৯ জানুয়ারি

বিভিন্ন উপজেলা পরিষদে শূন্য ১ হাজার ৪৯১টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে উপ-নির্বাচন ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

মঙ্গলবার ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২৯ জানুয়ারি ৪৯১ উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত ১ হাজার ৪৯১টি শূন্য পদে উপ-নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট চলবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত তফসিল ঘোষণার জন্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হলেও পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন সংরক্ষিত নারী সদস্যরা।

ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য এবং পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করবেন। আর এ সদস্যদের সংখ্যা হবে উপজেলায় ইউনিয়ন ও পৌরসভার মোট নারী সদস্যের এক তৃতীয়াংশের সমান।

ফরহাদ হোসেন জানান, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাঁচ ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয়। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হবে প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছর। অর্থাৎ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে।

Advertisement

উপজেলা পরিষদ গঠনের পর প্রথমবার সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোট হয় ২০১৫ সালের ১৫ জুন। কিন্তু দেশজুড়ে পৌরসভা ও ইউপি ভোটের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিতরা সংরক্ষিত নারী সদস্যর পদ হারানোয় তা শূন্য হয়ে গেছে। গেল ১৭ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ শূন্য পদের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারিও করে।

১৯৯৮ সালের উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, এ বছরের ১৫ মার্চের মধ্যে এসব শূন্য পদে ভোটের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বাংলাদেশের সব উপজেলায় প্রায় দেড় হাজার সংরক্ষিত নারী সদস্যের পদ রয়েছে, এতে ভোটার রয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার জন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা সদরের একটি ভোট কেন্দ্রে ভোট নেয়া হবে।

এ ভোটে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ব্যয়সীমা ১০ হাজার টাকা ও নির্বাচনী ব্যয়সীমা ১০ হাজার টাকা। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের জন্য সংরক্ষিত প্রতীকের মধ্যে রয়েছে- টেবিল, মোরগ, পেঁপে, বালতি, হরিণ, চাঁদ, ঢেঁকি, খরগোশ, বক ও গিটার।

Advertisement

এইচএস/জেএইচ/এমএস