শুরুটা মধু দিয়েই। বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে সফল হয়েছেন খুলনার আব্দুল হক। বর্তমানে তিনি গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক। মালয়েশিয়ার অন্যতম ট্যুরিজম সিটি মালাক্কাতে গড়ে তুলেছেন নিজের ও স্ত্রীর নামে দুটি ফ্যাক্টরিসহ ছয়টি কোম্পানি।
Advertisement
আব্দুল হক ১৯৯২ সালে জীবিকার তাগিদে প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে চাকরি নিয়ে মালয়েশিয়ায় আসেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে আব্দুল খালেকের মালয়েশিয়ায় পদার্পণ। শুরুতে ১৯৯৭ সালে স্বল্প পরিসরে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্ট প্রোডাক্ট এনে ব্যবসা শুরু করেন। পরে তিনি মধু ব্যবসায় যুক্ত হন।
আলাপে জানা গেছে, তিনি সীমিত আকারে বাসায় প্যাকেট করে বাজারজাত করতেন। শুরুতে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও থেমে থাকেনি আব্দুল হক। অদম্য ইচ্ছা শক্তির ফলেই আজ তিনি উচ্চশিখরে অবস্থান করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আব্দুল হক মধু ব্যবসার শুরুতে নিজের শরীরে মাছি লাগিয়ে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতো। প্রচার-প্রসার ও বুদ্ধির কারণেই আজ খালেকের এ অবস্থান। ২০০১ সালে তিনি মালয়েশিয়ান রমণী সাকিরার সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন।
Advertisement
বিয়ের কিছুদিন পর তিনি সাকিরার ‘কিরা’ আর আব্দুল হক এর ‘হক’ নিয়ে ‘কিরা হক গ্লোবাল মার্কেটিং এস ডি এন-বি এইচ ডি নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সেই থেকে আজ তিনি ছয়টি প্রতিষ্ঠানের মালিক। কিরা হকের মূল পণ্য মধু। মধু মিশ্রণ করে তিনি বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুত করেন।
এর মধ্যে কালোজিরা মধু, হানি ফর জেন্টস অ্যান্ড লেডিস, হানি ফর চিলড্রেন ও হানি প্লাস ড্রিঙ্কস অন্যতম। আব্দুল হকের এ সমস্ত পণ্য-সামগ্রী এখন মালয়েশিয়ার গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় রফতানি হচ্ছে।
আব্দুল হক বলেন, বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মধু পাওয়া যায়। কিন্তু মধুর সঙ্গে অন্য কিছু মিশিয়ে নতুন প্রোডাক্ট পাওয়া যায় না। আমি এ সুযোগটা নিয়েছি।
কিরা-হক মালয়েশিয়ার বন-জঙ্গল থেকে গ্রামে বসবাসকারী মালয়েশিয়ানদের দ্বারা মধু সংগ্রহ এবং তা প্রসেসিং করে বাজারজাত করেন। এ প্রসেসিংয়ের জন্য তিনি ২টি বড় ফ্যাক্টরি গড়ে তুলেছেন। যেখান থেকে প্রতিদিন ৪০ ফুটের এক কন্টেইনার পণ্য উৎপাদন করা যায়। ব্যবসা-বাণিজ্যের এ উন্নতির পেছনে তার স্ত্রী সাকিরার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বলেও জানান এ উদ্যোক্তা। সাকিরা কোম্পানির প্রশাসনিক কার্যক্রম দেখাশুনা করেন। কিরা হকের ছয়টি কোম্পানিতে কর্মচারী রয়েছে প্রায় ৪০ জন। এর মধ্যে প্রায় সবাই বাংলাদেশি। কর্মচারীরা বাংলাদেশি মালিকের অধীনে কাজ করে ব্যাপক খুশি। এমআরএম/এমএস
Advertisement