দেশজুড়ে

শিশুকে নির্যাতন : সমাজসেবা পরিচালকের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

বরিশাল সরকারি শিশু সদনে দুই বালিকাকে নির্যাতনের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) জুলফিকার হায়দার। বুধবার দুপুর ৩টার দিকে তিনি সড়ক পথে ঢাকা থেকে বরিশালে আসেন। এ সময় তিনি নির্যাতিত সদনের তৃতীয় শ্রেণির দুই ছাত্রী ডালিয়া (১০) ও আঁখির (৯) সঙ্গে কথা বলেন। সদনে থাকা শিশুদের সঙ্গে কথা বলে জুলফিকার হায়দার জানান, শিশু নির্যাতনের বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর এ ঘটনায় এখানকার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ পাবেনা বলেও জানান তিনি।পরিচালক আসার আগে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরা পারভীন  শিশু সদনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন ছোট শিশু মেয়েরা লাকড়ি দিয়ে রান্না করছে, বটি দিয়ে মাছ কাটছে। এ সময় বেশ কয়েকজনকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান বলে জানান তিনি। পরিচালক এসেছেন এ খবর শুনে শিশু সদনের পাঁচক (কুক) মিনারা বেগম এসে হাজিরা হন। এই সদনে ১৫ জন স্টাফ থাকার কথা থাকলেও সুপার, এমএলএসএস এবং কুকসহ বেশ কয়েকজন অনুপস্থিত ছিলেন।এদিকে, অভিযুক্ত কম্পাউন্ডার মো. দুলাল মিয়া কর্তৃক দুই শিশুকে শারিরিক নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশের অভিযোগে এলপিআরে যাওয়া এমএলএসএস আবু তালেবকে নোটিশ পাওয়ার আগেই কোয়ার্টার ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান হুমকি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ সময় আবু তালেব এর স্ত্রী নাসিমা বেগম জানান, এক দিনের মধ্যে তাদের ঘর ছাড়তে বলা হয়েছে। আবু তালেবের ছেলে মিরাজ বলেন, ভিডিও চিত্র তার বন্ধুরা ধারণ করেছে। পরবর্তীতে এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলে যায়।অন্যদিকে, অভিযুক্ত দুলাল মিয়া বরখাস্তের চিঠি পেয়ে লাপাত্তা। তার স্ত্রী কামরুন্নাহার পারভীন জানান, মেয়ে শিশু দুটিকে মারার সময় আমি ছাড়াতে গিয়েছিলাম ভয়ে ঠেকাতে পারিনি। তার রাগ বেশি বলে আমাকে ও ছেলে-মেয়েকে  মারধর করেন। সাইফ আমীন/এআরএ/পিআর

Advertisement