দেশজুড়ে

অভিভাবককে নির্যাতন : শিক্ষকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলে এক অভিভাবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের বিচার পেতে সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী অভিভাবক আয়াত উল্লাহ। রোববার সকালে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

Advertisement

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত ওই স্কুলের তিন শিক্ষককে শোকজ করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন প্রিন্স। তিনি জানান, অভিভাবক আয়াতকে নির্যাতনের ঘটনায় খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন, খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হকসহ তিন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে নির্যাতনের শিকার আয়াত উল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে যান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, নির্যাতনের ভিডিওটি কথা বলছে। লজ্জাজনক এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার সুযোগ নেই। এ ঘটনা তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে নির্যাতনের শিকার আয়াত উল্লাহ বাদী হয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রহান উদ্দিনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করছেন।

Advertisement

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, নির্যাতনকারীরা জামায়াতের বড় মাপের নেতা হওয়ায় পুলিশ ও সাংবাদিকের কাছে মুখ না খুলতে হুমকি দিচ্ছেন। যেকোনো মুহূর্তে তারা তার পরিবারের সদস্যদেরও ক্ষতি করতে পারে।

কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, নির্যাতনের ভিডিওটি সবার নজরে এসেছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক জহিরুল হক, বোরহান উদ্দিন, নজিবুল্লাহ, নুরুল আবছার, ওবায়দ উল্লাহ, স্কুল কমিটির সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী, দপ্তরি নুরুল হকসহ বেশ কয়েকজন গা ঢাকা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, রোববার আয়াত উল্লাহ সকালে খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলে গিয়ে সন্তানের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়া,পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বাড়ানোর কারণ জানতে চান। এ সময় খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন এবং খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হকসহ তাদের সহযোগীরা আয়াত উল্লাহর ওপর চড়াও হন। পরে আয়াত উল্লাহকে হাত-পা বেঁধে মারধরের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

Advertisement

সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/এমএস