প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সোমবার বড় দরপতন হয়েছে। উভয় বাজারে সবকটি মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। এ নিয়ে টানা তিন কার্যদিবস দরপতন হলো শেয়ারবাজারে।
Advertisement
মূল্যসূচকের পাশপাশি এদিন ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে সিএসইতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আর সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৩টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টির। অপরবাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪১টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৬১ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৯৪ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫৫ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
Advertisement
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি ব্যাংকের ১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইফাদ অটোস। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, ন্যাশনাল টিউবস, আলিফ মেনুফ্যাকচারিং, ড্রাগন সোয়েটার, গ্রামীণ ফোন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট এবং স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ১০২ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৬১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ১১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ২৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এমএএস/জেডএ/পিআর