খেলাধুলা

দক্ষিণ আফ্রিকার এ কী হাল!

তৃতীয় দিনের বৃষ্টি কী তাহলে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সাপেবর হয়েই দেখা দিতে যাচ্ছে। চতুর্থ দিনের শুরুতেই যে অবস্থা প্রোটিয়াদের, তাতে এমন মন্তব্য যে কেউ করতেই পারেন! কিন্তু জসপ্রিত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ শামিদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে যেভাবে আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু করেছে স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানরা, তাতে যে কারও অবাক না হয়ে উপায় নেই। ৯৫ রান তুলতেই যে ৭ উইকেট হারিয়েছে প্রোটিয়ারা!

Advertisement

দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে জসপ্রিত বুমরাহ খেলায় ফিরিয়েছিলেন ভারতকে। পরপর তুলে নিয়েছিলেন দুই ওপেনার এইডেন মারক্রাম এবং ডিন এলগারকে। এই দু’জনের জুটিতে প্রথমে এসেছিল ৫২ রান। পরে ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তুলে দিন শেষ করে প্রোটিয়ারা। উইকেটে ছিলেন হাশিম আমলা এবং নাইটওয়াচম্যান কাগিসো রাবাদা।

তৃতীয় দিন ভেসে গেলো পুরোপুরি বৃষ্টিতে। চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের ওপর হামলে পড়লেন ভারতীয় পেসাররা। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই হাশিম আমলার উইকেট তুলে নিলেন মোহাম্মদ শামি। এরপরই সেই শামির বলেই আউট হয়ে গেলেন কাগিসো রাবাদা।

অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস তো মাঠে নেমে দাঁড়াতেই পারেনি। ৫ বল খেলে জসপ্রিত বুমরাহর বলে উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। কুইন্টন ডি কককেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন বুমরাহ। এরপর ভারনন ফিল্যান্ডারকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ শামি।

Advertisement

প্রোটিয়াদের আশা হয়ে এখনও উইকেটে টিকে রয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ৩৯ বল খেলে তার রান ২৫ এবং অপরপ্রান্তে রয়েছেন কেশব মাহারাজ। তার সংগ্রহ ৪ রান। এ রিপোর্ট লেখার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৫।

ভারতের সামনে দক্ষিন আফ্রিকার লিড দাঁড়িয়েছে ১৮২ রান। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ২৮৬ রান। জবাবে ভারত অলআউট হয়েছিল ২০৯ রানে। ৭৭ রানের লিড পেয়েছিল স্বাগতিকরা।

আইএইচএস/এমএস

Advertisement