শিক্ষা

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিলেন মাদরাসা শিক্ষকরা

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতি। রোববার রাজধানীর পরিবহন পুলে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা দাবি-দাওয়া উল্লেখ করে নব নিযুক্ত প্রতিমন্ত্রীর হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেন।

Advertisement

এদিকে, গত সাত দিন ধরে টানা অবস্থান কর্মসূচি আন্দোলন পালন করে যাচ্ছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা। ৩৩ বছর ধরে পাঁচ হাজার ৪৭৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা সরকারি বেতন-ভাতা বঞ্চিত। কিছু মাদরাসার শিক্ষক মাসিক বেতন-ভাতা পেলেও তা খুবই সামান্য। স্বল্প বেতনে সংসারের ঘানি টানতে না পেরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন শিক্ষকরা।

জাতীয়করণসহ আট দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলার তিনশতাধিক শিক্ষক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন।

শিক্ষকরা জানান, ১৯৮৪ সালে ৭৮ অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে স্বতন্ত্র মাদরাসা নিবন্ধন শুরু হয়। তখন থেকেই স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকরা সরকারের নিয়মনীতি অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো শিক্ষার্থীদের বিনাবেতনে পাঠদান করে আসছেন।

Advertisement

তারা বলেন, একই কারিকুলামে পাঠদান করা হয়। পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় এসব মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতোই সরকারের সব কাজে অংশ নেন মাদরাসার শিক্ষকরা। অথচ শিক্ষক হিসেবে আমাদের কোনো অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। এ কারণে বাধ্য হয়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী বলেন, ৩৩ বছর ধরে আমরা অভিভাবকহীন ছিলাম। প্রধানমন্ত্রীকে স্মরকলিপি দেয়ার পরে ১৯১৬ সালের ১৮ মে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্সা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়া হয়। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে সরকারিকরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। সরকারি করতে মন্ত্রী একটি ওয়ার্কিং কমিটিও গঠন করে দেন। আমরা খুশিতে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের কিছু না জানিয়েই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা হস্তান্তর করা হয়। এটা একটি ষড়যন্ত্র। প্রাথমিক শিক্ষা আইনের পরপন্থি।

তিনি আরও বলেন, আজ আমরা নতুন প্রতিমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি-দাওয়া উল্লেখ করে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা যে কোনো মূল্যে জাতীয়করণ চাই। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

এমএইচএম/জেএইচ/জেআইএম

Advertisement