আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা ৯ বছর আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, তারাই দেশের গুমের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
Advertisement
রোববার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির উদ্যোগে ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রস ও নৈরাজ্যের খণ্ডচিত্র প্রদশর্নী’ ও আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা পাকিস্তানি কায়দায় জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তারা পাকিস্তানি প্রেতাত্মা। এরাই আবার গুম খুনের কথা বলে। গুমের নাটক যারা সাজায় তারাই গুমের অভিযোগ দিতে দ্বিধা করে না। দেশে হঠাৎ হঠাৎ লাশ পড়ে থাকে। যারা ৯ বছর আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারাই দেশের গুমের ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাদের একজন সুইডেনে বসে কিলিং গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করছে। তার নাম নাহিদ। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও খুনের ঘটনা দেখছি।
তিনি বলেন, পাকিস্তানির দোসরা এখনো বাংলার মাটিতে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, তারা এখনো রক্তের হলিখেলা খেলছে। বিএনপি-জামায়াত মানবতার অপমান করেছে হিংস্র দানবতার মাধ্যমে। তারা দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। তারা কোন মুখে দেশের মানুষের কাছে ভোট চায়। ২০১৮ সালে সাম্প্রদায়িকতা পরাজয়ের বছর। তাদের পরাজয় হবে।
Advertisement
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে আছে তাদের মুখোশ জাতীর সামনে উম্মোচন করতে হবে। বিএনপির-জামায়াতের নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখতে হবে। আবার তাদের পরাজয় করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আনতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের এ বর্বরতাকেকে তুলে ধরে এদের মুখোশ উম্মোচন করতে হবে। বর্বর এ অপশক্তির বিরুদ্ধে ঘৃণার আগুন ছড়িয়ে দিতে হবে।
অনেকেই গুম হয়ে ফিরে আসছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, এ এলাকার মাহফুজ বাবু ফিরে আসেনি। যারা ভিক্টিম তাদের মুখে যে বর্ণনা তার পর আর কোনো বক্তব্য দেবার কিছু থাকে না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা আপনাদের পাশে আছে, থাকবে। শেখ হাসিনা বিপন্ন মানবতার বাতিঘর।
প্রচার ও প্রকশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সঞ্চলনায় অালোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনিবার্হী সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
Advertisement
আলোচনা সভায় অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মাইশার মা ও নুরুজ্জামানের স্ত্রী মাফরুহা বেগম, ট্রাক ড্রাইভার পটল মিয়া, পুলিশ কনেস্টেবল মোর্শেদ আলম, আলু ব্যবসায়ী রেজাউল করিম, সেলসম্যান মোশাররফের স্ত্রী লাভলী আক্তার কথা বলেন।
পরে মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ অর্থ প্রদান করেন ও তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
এইউএ/এমবিআর/আইআই