আন্তর্জাতিক

সুর নরম ট্রাম্পের, কিমের সঙ্গে কথা বলতে চান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অবশ্যই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তরের আলোচনায় ইতিবাচক ফল বেরিয়ে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।

Advertisement

শুক্রবার উত্তর কোরিয়া বলছে, তারা আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসবে। ওয়াশিংটন এবং সিউল তাদের সামরিক অনুশীলন স্থগিত করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আলোচনার টেবিলে বসার ঘোষণা দেয় দুই কোরিয়া।

পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জেরে কোরীয় দ্বীপে উত্তেজনায় চরমে পৌঁছেছে। এর মাঝেই গত দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আলোচনায় রাজি হয়েছে উত্তর কোরিয়া।

মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো ধরনের পূর্ব শর্ত ছাড়াই উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আমি কথা বলবো। এটাতে আমার কোনো সমস্যা নেই।’

Advertisement

ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই দুই দেশের এ দুই রাষ্ট্রনেতা বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে উ. কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে ‘রকেট মানব’ বলে ডাকেন ট্রাম্প।

গত সপ্তাহে এই দুই নেতা আবারও বাগযুদ্ধে লিপ্ত হন। উ. কোরিয়ার নেতা কিম জং উন নববর্ষের ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে বলেন, তার টেবিলে সবসময়ই পারমাণবিক বোমার বোতাম থাকে। থেমে থাকেননি ট্রাম্প; কিমের হুমকির জবাবে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তার বোমা আরো বড় এবং বেশি শক্তিশালী।’

দুই কোরিয়ার মাঝে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে তাতে আগামী মাসে দক্ষিণে অনুষ্ঠেয় শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তরের অংশগ্রহণ ও আন্তঃকোরীয় সম্পর্কের ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ট্রাম্প বলেছেন, উত্তেজনা কমিয়ে আনতে পারে এই আলোচনা। কূটনৈতিক সাফল্যের পেছনে নিজের কৃতিত্ব দাবি করেছেন মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, ‘এটি তার দৃঢ় চাপের ফল। এই আলোচনা থেকে যদি কোনো ভালো ফলাফল বেরিয়ে আসে, তাহলে সেটি হবে পুরো মানবতার জন্য কল্যাণকর। এটি বিশ্বের জন্যও মহা-গুরুত্বপূর্ণ।’

Advertisement

সূত্র : রয়টার্স।

এসআইএস/এমএস