জনপ্রিয় দুই কণ্ঠশিল্পী তপন চৌধুরী ও আঁখি আলমগীরের জন্মদিন আজ ৭ জানুয়ারি। জাগো নিউজ পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
Advertisement
গেল বছর নিজের জন্মদিনে গানের জগতে চল্লিশ বছর পূর্তি করেন তপন চৌধুরী। সেই উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাত গুণীজনকে সম্মাননা দিয়েছিলেন। তবে এবারে একান্তে পরিবারের সঙ্গেই কাটবে তার বিশেষ দিনটি। বন্ধু-স্বজনদের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় হবে। পরিবার নিয়ে সুখে থাকার দোয়া চেয়েছেন এই শিল্পী তার ভক্ত ও অনুরাগীদের কাছে।
তপন চৌধুরী তার সংগীত জীবন শুরু করেন জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘সোলস’র সদস্য হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি সলো ক্যারিয়ারের প্রতি মনযোগী হন। একক অ্যালবাম, ফিল্মের প্ল্যাবেকে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। গেয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান।
একটা সময় পাইরেসির কবলে পড়ে জনপ্রিয় শিল্পীদের অনেকেই গুটিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। অন্তর্জালকে কেন্দ্র করে অডিও ইন্ডাস্ট্রির নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর দিনে তাদের অনেকেই ফের সুর ধরছেন তাদের কণ্ঠে। অনেকের মত তপন চৌধুরীও ফিরে আসেন গেল বছরের শুরুর দিকে। প্রায় ১৩ বছর পর প্রকাশ করেন নিজের নতুন অ্যালবাম। পাশাপাশি দুই বছরের বিরতি কাটিয়ে বাংলাদেশ বেতারেও গান করেন তিনি।
Advertisement
সর্বশেষ তিনি জাহিদ আকবরের কথায় বিটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘পরিবর্তন’র জন্য একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক আনজাম মাসুদ জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীরের কন্যা আঁখি আলমগীর। শৈশবে অভিনয় করে প্রশংসিত হলেও গানকেই নিজের জীবনের পাথেয় করে নেন। সফলও হয়েছেন তিনি। আঁখি আলমগীরের নাম সংগীতাঙ্গনে মুগ্ধতা ছড়ায়।
প্রিয় কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের জন্মদিনে রাত ১২টার পর থেকেই বন্ধু, ভক্ত ও শুভাকঙ্খীসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা মাখানো শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন আঁখি আলমগীর। ফেসবুকেও বইছে শুভেচ্ছা বানী ও শুভকামনার বৃষ্টি।
আঁখি জানালেন, আজ সকালের ফ্লাইটে কলকাতা যাচ্ছেন তিনি। সেখানে যোধপুর পার্কে ‘বাংলাদেশ উৎসব’ নামের একটি আয়োজনে ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করবেন।
Advertisement
নিজের জন্মদিন নিয়ে শিল্পী বলেন, ‘সংগীত জীবন নিয়ে আমি তৃপ্ত। আমার ব্যস্ততাও আল্লাহর রহমতে উপভোগ করার মতো। বছরজুড়েই স্টেজ শো নিয়ে ভীষণ ব্যস্ততা থাকে। স্টেজ শোতে অংশ নেয়া জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে। এমনও হয়েছে একই দেশে একই স্থানে আমি পরপর টানা পাঁচ বছর গান গেয়েছি। দর্শক শ্রোতা আমাকে ভালোবাসেন বলেই আমি ছুটে গিয়েছি তাদের ডাকে।’
সবসময় নির্লোভ থাকার চেষ্টা করেন বলে অল্পতেই নিজের মাঝে শান্তির দেখা পান বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি মানবসেবাকে প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করে বলেন, ‘দোয়া করবেন, যেন আমি আমার অবস্থান থেকে মানবতার জন্য কাজ করে যেতে পারি। কারণ আমি মনে করি, শিল্পীর একসময় মৃত্যু হয়, কিন্তু মানবতার বা মনুষ্যত্বের কোনো মৃত্যু নেই।’
আঁখি আলমগীর শিশুশিল্পী হিসেবে মিডিয়ায় পা রাখেন। ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ ছবিতে অভিনয় করে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। গানের ভুবনে তার আবির্ভাব ঘটে প্লেব্যাক দিয়ে। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘প্রথম কলি’। তিনি চিত্রনায়ক আলমগীর ও গীতিকবি খোশনূরের সন্তান।
এলএ/পিআর