‘মুজিজা বা কারামত’ নবি-রাসুল-ওলিদের প্রতি আল্লাহ তাআলার একান্ত অনুগ্রহ। আল্লাহ তাআলা ইসলামের প্রয়োজনে তাঁর ইচ্ছা মাফিক তা দান করেছেন এবং এখনও দান করেন। এটা ব্যক্তি বিশেষকে দেখানোর বা ক্ষমতা জাহির করার কোনো বিষয় নয়।
Advertisement
যদিও মুজিজা বা কারামত এক তথাপিও নবি-রাসুলদের থেকে প্রকাশিত অলৌকিক বিষয়াবলীকে মুজিজা বলা হয়। আর নবি-রাসুল ব্যতিত অন্যদের থেকে প্রকাশিত অলৌকিক বা আশ্চর্যজনক ঘটনাকে কারামত বলা হয়।
রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সমগ্র জীবনীই ছিল মুজিজায় পরিপূর্ণ। আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবিবকে দান করেছেন অসংখ্য মুজিজা। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ মুজিজা হলো আল-কুরআনুল কারিম। অসংখ্য মানুষ তাঁর মজিজা দেখে ইসলাম গ্রহণ করেন।
এমনই একটি মুজিজা হলো- তাঁর কথা গাছ থেকে খেজুরের একটি গুচ্ছ তাঁর হাতে চলে আসে। হাদিসে এসেছে-
Advertisement
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক দিন এক আরব বেদুঈন এসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন, কিভাবে জানব বা পরিচয় পাব যে আপনি নবি?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-‘এ খেজুর গাছটির ঐ খেজুরগুচ্ছকে যদি আমি এখানে ডেকে নিয়ে আসি, তবে কি তুমি সাক্ষ্য দেবে যে আমি আল্লাহর রাসুল? অতঃপর তিনি গাছে ঝুলন্ত একটি খেজুর গুচ্ছকে কাছে ডাকলেন।
তৎক্ষনাৎ খেজুরের একটি গুচ্ছ তাঁর হাতে চলে আসে। (খেজুর গুচ্ছটি কিছুক্ষণ হাতে ধারণের পর) প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ফিরে যাও। খেজুর গুচ্ছ নিজ স্থানে ফিরে গেল।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ মুজিজা দেখে ওই আরব বেদুঈন ইসলাম গ্রহণ করে। (তিরমিজি)
Advertisement
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ সব মুজিজা মুসলিম উম্মাহর জন্য দাওয়াতে দ্বীনের অনুপ্রেরণার উৎস। আল্লাহর প্রতি ঈমান লাভ ও তাকওয়া বৃদ্ধির মাধ্যম।
মনে রাখতে হবেএ আশ্চর্যজনক ঘটনা নবি-রাসুল-ওলি ব্যতিত ইসলামের বহির্ভূত লোকদের থেকেও প্রকাশ পেতে পারে। আর তা হলো শয়তানের কাজ; যা কোনোভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। প্রিয়নবির মুজিজাকে নিজেদের ঈমান বৃদ্ধিতে অনুপ্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস