শীতে কাঁপছে সারাদেশ। তীব্র শীতে যেন থমকে গেছে জনজীবন। তবে এরমাঝেও খুশি রাজবাড়ীর সবজিচাষিরা। এবছর রাজবাড়ীতে নিচু ও নদী তীরবর্তী এলাকায় শীতের সবজির আবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। সবজির ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
Advertisement
শীতকালে মানুষের খাদ্য চাহিদার মূলে থাকে সবজি। আর সেসব সবজি যদি নতুন উদ্যমে নতুন করে বাজারে পাওয়া যায় তাহলে আর কথাই নেই। অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাজারে সবজির দাম ভালো হওয়ায় রাজবাড়ীতে দিন দিন বাড়ছে শীতের সবজির আবাদ। উৎপাদিত সবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, লাউ, পালন শাক, করল্লা, টমেটো, বেগুন। এ সবজিগুলো জেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা চাষ করে থাকেন। তবে এ সবজিগুলো নিচু ও নদী তীরবর্তী চর এলাকায় বেশি চাষ হয়।
বাজারে টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, সিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীতে এবছর সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৬২০ হেক্টর জমি। এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে। আবাদ যে হারে বাড়ছে তাতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা কৃষি সম্পসারণ অধিদফতরের।
Advertisement
কৃষকরা জানান, এবছর তারা শীতের সবজি উৎপাদন করে বেশ লাভবান হয়েছেন এবং তাদের উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া শীতের সবজি চাষে সরকারি ভাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতা করা হলে আরো বেশি সবজি উৎপাদন সম্ভব। তবে শীতের সবজির ভালো বাজারমূল্য পাওয়ায় তারা খুশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. ফজলুর রহমান জানান, শীতকালীন সবজির চাহিদা থাকায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। যেসব চাষিরা আগাম-শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন তারা ভালো মুনাফা পাচ্ছে।
রুবেলুর রহমান/এফএ/এমএস
Advertisement