বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথের এপিএস সাইফুল ইসলামকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে বেদম মারধরের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেশীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অভিযোগে এ ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
খবর পেয়ে সাইফুলের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে স্পিডবোটযোগে ঢাকায় নিয়ে যায়। শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সাইফুল পৌর শহরের আম্বিকাপুর এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মালেক জোমাদ্দারের ছেলে মিন্টু জোমাদ্দারের নেতৃত্বে ১০/১২ জন স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মী সাইফুলের ওপর হামলা চালায়। সাইফুলকে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে উপজেলা চত্বরে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে সাইফুলের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং অবস্থার অবনতি হলে স্পিডবোটযোগে ঢাকায় নিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হামলাকারী মিন্টু জানান, সাইফুল (মিন্টু) তার বড় ভাই উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মনির জোমাদ্দারসহ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এ কারণে তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের ফাঁটল দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সাইফুলকে নিষেধ করা হলেও সে তা শোনেনি। উপরন্তু সাইফুল (মিন্টু) ও তার ভাইয়ের কাছে বানোয়াট কথাবার্তা বলে। একইভাবে তার কাছেও বাবা ও ভাই সম্পর্কে বানোয়াট কথাবার্তা বলতে থাকে। যা এলাকাবাসীও অবগত রয়েছে। সেই মিথ্যা কথাগুলো বিভিন্নস্থানে রটিয়ে দেয়ায় তার পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়। কোনোভাবে তাকে নিবৃত্ত করতে না পেরে শিক্ষা দেয়ার জন্য মারধর করা হয়েছে।
Advertisement
মেহেন্দীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আকতারুজ্জামান জানান, এপিএস সাইফুল ও মিন্টুর ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। হঠাৎ করে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সেই বিরোধ থেকে মারধর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আহত এপিএস সাইফুলের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তারা নিজেরাই সমঝোতার মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন।
সাইফ আমীন/এমএএস/পিআর