আন্তর্জাতিক

রাখাইনে সেনাবাহিনীর গাড়িতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলা

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এতে অন্তত ছয় সেনাসদস্য আহত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ও মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, সেনাবাহিনীর গাড়িতে অতর্কিত হামলা হয়েছে। স্থল মাইনের বিস্ফোরণ ঘটানোর পর বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর ওই গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে।

Advertisement

শুক্রবার সকালে রাখাইনের মংডু শহরের প্রত্যন্ত একটি গ্রামের সড়কে ওই হামলা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ওপর বিরল এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বিদ্রোহীরা।

মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে ধারাবাহিক হামলার জেরে গত বছরের ২৫ আগস্ট সংখ্যালঘু মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইনে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীবিরোধী অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযান, অগ্নিসংযোগ ও নিপীড়নের মুখে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়েছে।

জাতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ অভিযানকে জাতিগত নিধনের অভিযোগ এনে নিন্দা করে আসছে। তবে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

Advertisement

৩০টির বেশি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার দায় স্বীকার করা রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) গত ২৫ আগস্টের পর অল্প কয়েকটি বিক্ষিপ্ত হামলা চালিয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, চরমপন্থী বাঙালি সন্ত্রাসীদের সংগঠন আরসার সদস্যরা সেনাবাহিনীর ট্রাকে শুক্রবারের হামলা চালিয়েছে। এতে আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মিয়ানমার সরকার বলছে, একটি গাড়িতে...ক্ষুদে অস্ত্র ও বাড়িতে তৈরি মাইনের বিস্ফোরণের পর প্রায় ২০ বিদ্রোহী হামলা করেছে। সেনাবাহিনী বলছে, অন্তত ১০ জন হামলায় অংশ নিয়েছে।

এদিকে, আরসা একজন মুখপাত্র ক্ষুদে বার্তায় রয়টার্সকে বলেছেন, তার সংগঠনের সদস্যরা ওই হামলা চালিয়েছে। ‘হ্যাঁ, সেনাবাহিনীর গাড়িতে সর্বশেষ হামলার দায় নিচ্ছে আরসা।’হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য আরো পরে প্রকাশ করা হবে বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে, কোনো জঙ্গিাগোষ্ঠীর সঙ্গে আরসার সম্পর্ক থাকার দাবি নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। আরসার এ মুখপাত্র বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান নিপীড়নের অবসানের লক্ষ্যে তারা লড়াই করছেন।

Advertisement

ইয়াঙ্গুনভিত্তিক মিয়ানমারের ম্যাগাজিন ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার স্থানীয় এক বাসিন্দার বরাত দিয়ে বলছে, গাড়িতে অতর্কিত হামলার সময় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। মিয়ানমারের সরকারি অপর এক দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, গাড়িতে হামলার ঘটনার পর মংডু থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের তারেইন গ্রামে এখনো গোলাগুলি চলছে।

সূত্র : রয়টার্স, দ্য ইরাবতি।

এসআইএস/পিআর