খেলাধুলা

কোহলির ব্যর্থতার দিনে চাপে ভারত

সিরিজ শুরুর আগে গুঞ্জন ছিল সিরিজতা যতনা দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের, তার চেয়ে বেশি কোহলি- ডি ভিলিয়ার্সের। ডি ভিলিয়ার্স নিজের দলকে একটা সুবিধা জনক জায়গা নিতে পারলেও ব্যর্থ হয়েছেন কোহলি। আনুশকার সঙ্গে জুটি বাধার পর প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে মাত্র ৫ রান করেই সাজঘরে ফিরে গেছেন বর্তমান সময়ের সেরা এই ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপে থেকে দিন শেষ করেছে সফরকারী দলটি। প্রথম দিন শেষে দলটির সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮ রান। ২৫৮ রানে পিছিয়ে ভারত।

Advertisement

কেপটাউনে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয়াই যেন কাল হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। পিচ থেকে পেসাররা বেশ সাহায্য পেয়েছেন। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারতও শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। প্রোটিয়াদের বোর্ডে তখন মাত্র ১২ রান।

ভুবনেশ্বর কুমারের দুর্দান্ত সুইংয়ে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ডিন এলগার। ৫ রান করে তারই এলবিডব্লিউয়ের শিকার এইডেন মার্করাম। এরপর অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল খোঁচা লাগিয়ে আউট প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ হাশিম আমলা (৩)। ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমত ধুঁকছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

চতুর্থ উইকেটে অবশ্য দলকে এই মহাবিপর্যয় থেকে বাঁচিয়েছেন ফাফ ডু প্লেসি আর এবি ডি ভিলিয়ার্স। তারা গড়েছেন ১১৪ রানের বড় জুটি। দারুণ খেলতে থাকা ডি ভিলিয়ার্সকে বোল্ড করে শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভেঙে দেন অভিষিক্ত জাসপ্রিত বুমরাহ। ৮৪ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ৬৫ রান করেন ভিলিয়ার্স।

Advertisement

এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হয়ে ফিরেন আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান ফাফ ডু প্লেসিও। ১০৪ বলে ১২ চারে ৬২ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। তিনি ফেরার পর আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।

৪০ বলে ৪৩ রানের ঝড় তুলে আউট হয়েছেন কুইন্টন ডি কক। কেশভ মহারাজ (৩৫), ভেরনন ফিলেন্ডার (২৩), কাগিসো রাবাদারা (২৬) নিচের দিকে অবদান রাখতে চেষ্টা করেছেন। না হয়, আরও কম রানেই গুটিয়ে যেতো দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।ভারতের পক্ষে ৪টি উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। রবিচন্দ্রন অশ্বিন নিয়েছেন ২টি উইকটে। একটি করে উইকেট হার্দিক পান্ডিয়া, মোহাম্মদ শামি আর জাসপ্রিত বুমরাহর।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়া পেসারদের তোপে পড়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাও। পঞ্চম ওভারে ফিল্যান্ডারের বলে এলগারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুরলি বিজয় (১)। পরের ওভারে স্টেইনের ফিরতি ক্যাচে বিদায় নেন আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ানও (১৬)।

তবে সবচেয়ে বড় উইকেটটা নিয়েছেন মরনে মরকেল। গত বছর টেস্টে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করা কোহলিকে ডানা মেলার আগেই সাজঘরে পাঠিয়ে দেন ডানহাতি পেসার। উইকেটকিপার ডি কককে ক্যাচ দিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক (৫)। ভারতের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ২৭!

Advertisement

এমআর/এমএস